পুরীর রথযাত্রায় বিপত্তি! ওড়িশার BJP সরকারের দিকে আঙুল তুলছে BJD
স্থানীয় প্রশাসন এবং নিরাপত্তারক্ষীদের একটি সূত্র বলছে, রথ সংলগ্ন ঘেরাটোপে বহু মানুষ ঢুকে পড়েন। সে কারণে অবাধে চলতে পারেনি রথ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:২৬: কঠোর নিরাপত্তা। কিন্তু চরম বিশৃঙ্খলা। এবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল পুরীর রথযাত্রা। ভক্তদের বিপুল সমাগম। ব্যারিকেডের মধ্যে ভক্তদের ঢুকে পড়া। ফলস্বরূপ প্রথম দিনে মাসির বাড়ি গুণ্ডিচা মন্দিরে পৌঁছতেই পারেনি বলরাম-সুভদ্রা-জগন্নাথের রথ। আজ দ্বিতীয় দিনে ফের শুরু হয়েছে রথটানা। ইতিমধ্যেই মাসি বাড়িতে পৌঁছেছে বলরামের রথ। সবার শেষে পৌঁছবে জগন্নাথের রথ নন্দীঘোষ।
রীতি মেনে দাদা বলভদ্রের রথ তালধ্বজ চলে সকলের আগে। তার পরে বোন সুভদ্রার দর্পদলন। সকলের শেষে চলে জগন্নাথের নন্দীঘোষ। লক্ষ লক্ষ মানুষ দড়ি দিয়ে সেই রথ টেনে নিয়ে যান। প্রশাসনের একটি সূত্র বলছে, গ্র্যান্ড রোডে (বড় দণ্ড) তালধ্বজ রথটি যখন বাঁক ঘুরছিল, সে সময়ে বিপত্তি হয়। কাঠের তৈরি তালধ্বজ রথটি এতটাই বড়, যে তা বাঁক ঘুরতে পারছিল না। এর ফলে দীর্ঘ ক্ষণ থেমে থাকে শোভাযাত্রা। শুক্রবার বলভদ্রের রথ তালধ্বজ বড় দণ্ডের উপরে বলগণ্ডি পর্যন্ত যেতে পারে। সুভদ্রার রথ দর্পদলন মাঝপথে মার্কেট চক অবধি পৌঁছোয়।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা নবীন পট্টনায়েকের বক্তব্য, “আমরা কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। কিন্তু কালকের ঘটনায় উদ্বেগ এবং বিরক্তি প্রকাশ না করে উপায় নেই। রাজ্যের সবচেয়ে পবিত্র উৎসব নিয়ে এই অব্যবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। গত বছর কীভাবে পাহান্ডির সময় বলরামের মূর্তি পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটল সেটাও ভোলার নয়।” পটনায়েকের অভিযোগ, “এই অব্যবস্থার জন্য জগন্নাথদেবের লক্ষ লক্ষ ভক্ত আঘাত পেয়েছেন।” একই সঙ্গে তাঁর প্রার্থনা, “যাদের জন্য এই অব্যস্থা, ঈশ্বর তাদের ক্ষমা করুন। আশা করব সরকারে যারা আছে তারা আত্মসমালোচনা করবে এবং সতর্ক হবে।”
স্থানীয় প্রশাসন এবং নিরাপত্তারক্ষীদের একটি সূত্র বলছে, রথ সংলগ্ন ঘেরাটোপে বহু মানুষ ঢুকে পড়েন। সে কারণে অবাধে চলতে পারেনি রথ। বার বার বাধা পেয়েছে যাত্রা। নিজেদের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করতে পারেননি সেবায়েত এবং রক্ষীরা। শুক্রবারের ঘটনায় বিরোধী বিজেডি (বিজু জনতা দল) আঙুল তুলেছে বিজেপি সরকারের দিকে। যদিও সরকার এবং প্রশাসনের একটি অংশের দাবি, এ বছর রথে পুরীতে প্রত্যাশার বেশি ভক্ত সমাগম হয়েছে।