BJP-শাসিত মধ্যপ্রদেশে সরকারি হাসপাতালে তরুণীকে কুপিয়ে খুন, কোথায় NCW, fact-finding team? প্রশ্ন তৃণমূলের
তরুণী তা প্রত্যাখ্যান করার পরও বার বার উত্ত্যক্ত করতেন। ২৭ জুন সন্ধ্যা, চিকিৎসাধীন এক বন্ধুর আত্মীয়কে দেখতে নরসিুংহপুরের জেলা হাসপাতালে যান।
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:৫৩: হাড়হিম করা ঘটনা ঘটল ডবল ইঞ্জিন মধ্যপ্রদেশে! সরকারি হাসপাতালের মধ্যে এক তরুণীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার বিভাগে ঢুকে দ্বাদশ পড়ুয়া সন্ধ্যা চৌধরিকে মারধর করেন এক যুবক। তরুণীর বুকের উপর বসে গলায় ছুরি চালিয়ে দেন। এই ঘটনার সময় ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা, চিকিৎসক থেকে নার্স, সকলের সামনে তরুণীকে কুপিয়ে খুন করে চম্পট দেন অভিযুক্ত। ঘটনাটি ২৭ জুনের কিন্তু অদ্যাবধি কোনওরকম ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম বা জাতীয় মহিলা কমিশনকে এক্ষেত্রে পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তৃণমূলের দুই মহিলা সাংসদ।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে অভিষেক কোষ্টি নামে এক যুবক সন্ধ্যাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তরুণী তা প্রত্যাখ্যান করার পরও বার বার উত্ত্যক্ত করতেন। ২৭ জুন সন্ধ্যা, চিকিৎসাধীন এক বন্ধুর আত্মীয়কে দেখতে নরসিুংহপুরের জেলা হাসপাতালে যান। অভিষেক সে খবর পেয়ে পৌঁছয়। হাসপাতাল চত্বরে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। অভিষেকও তাঁর পিছু নেন। ট্রমা কেয়ারের বাইরে তখন দু’জন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। ভিতরে কয়েক জন নার্স ও চিকিৎসকেরাও ছিলেন।
অভিষেক ট্রমা কেয়ারে ঢুকে সন্ধ্যাকে মারধর করা শুরু করেন। হঠাৎ একটি ছুরি বার করে সন্ধ্যার বুকের উপর চেপে বসে তাঁর গলায় ছুরি চালিয়ে দেন। অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীরাও নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিনা বাধায় হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে যান অভিষেক। তরুণীর রক্তাক্ত দেহ হাসপাতালের ভিতরেই পড়ে ছিল। তাঁর বাড়ির লোক আসার পর দেহ সরানো হয়। তরুণীর বাড়িরে লোকেরা রাস্তা অবরোধ করেন। হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কী করে সরকারি হাসপাতালে প্রকাশ্যে এমন ঘটনা ঘটল? উঠছে প্রশ্ন। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে ঘটে যাওয়া এহেন ঘটনায় সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের রাজ্যসভার উপ-দলনেত্রী সাগরিকা ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “ভয়াবহ, চরম পৈশাচিক। মধ্যপ্রদেশে কি কোনও ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম’ যাচ্ছে? মোহন যাদবকে (মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী) কি ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে?”
তৃণমূলের আর এক রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব লিখছেন, “বিজেপি শাসিত রাজ্যে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার হত্যার ঘটনায় নীরব! এটাই কি মোদীর গ্যারান্টি? ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠানোর ক্ষেত্রে বিজেপির মাপকাঠি কি? মধ্যপ্রদেশের এক সরকারি হাসপাতালে প্রকাশ্য দিবালোকে একটি মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিবাদ করা হল না। এটা দুঃখজনক।”
সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গিয়েছে, অবিজেপি শাসিত কোনও রাজ্য কোনও ঘটনা ঘটলেই অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে মোদী সরকারের অধীনস্থ নানান সংস্থা, কমিশন এমনকি বিজেপি দলগতভাবে নেমে পড়ে। সেখানে খোদ বিজেপি শাসিত রাজ্যে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটলেও কেন নীরব মহিলা কমিশন?