কোটি কোটি টাকার হিসাবে দেয়নি বাম সরকার, নবান্নকে চিঠি এজি বেঙ্গলের
কয়েক হাজার কোটি টাকার কোনও হিসেব দেওয়া হয়নি। অবিলম্বে বকেয়া সমস্ত ইউসি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে এজি বেঙ্গল নবান্নকে চিঠি পাঠিয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:১৭: ঋণের বোঝার পর এবার বাম সরকারের হিসেব না-দেওয়ার দায়ও চাপছে বর্তমান রাজ্যের সরকারের কাঁধে। ২০০৩-০৪ অর্থবর্ষ থেকে রাজ্যের সাহায্যপ্রাপ্ত বিভিন্ন সংস্থাকে যে কোটি কোটি টাকা গ্রান্ট-ইন-এইড দেওয়া হয়েছিল, তার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট (ইউসি) জমা পড়েনি এজি বেঙ্গলের কাছে। সাফ কথায় খরচের খতিয়ান জমা পড়েনি। কয়েক হাজার কোটি টাকার কোনও হিসেব দেওয়া হয়নি। অবিলম্বে বকেয়া সমস্ত ইউসি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে এজি বেঙ্গল নবান্নকে চিঠি পাঠিয়েছে।
চিঠি পেয়েই নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। অর্থসচিব প্রভাত মিশ্র জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখছে। দপ্তরগুলিকে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে বলা হয়েছে। দপ্তরগুলিতে এজি বেঙ্গলের পাঠানো চিঠি সহ নির্দেশিকাও পাঠিয়েছে অর্থদপ্তর। ২০০৩-০৪ থেকে যত ইউসি বকেয়া রয়েছে, তার খতিয়ান তৈরি করে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এক একটি দপ্তরের ক্ষেত্রেই অঙ্কটা সাড়ে সাত হাজার কোটিরও বেশি!
সাহায্যপ্রাপ্ত সংস্থাগুলিকে দুটি ক্ষেত্রে গ্রান্ট-ইন-এইড (আর্থিক অনুদান) দেয় সরকার। কর্মচারীদের মাইন এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন ও প্রকল্প খাতে অনুমোদন দেওয়া হয়। আর্থিক শৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করতে ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ইন্টিগ্রেটেড ফিনান্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা আইএফএমএস ব্যবস্থা চালু করে সরকার। ফলে সাম্প্রতিক কয়েক বছরের হিসেবের খতিয়ান দেওয়া খুব একটা কষ্টের নয়। কিন্তু বাম আমলের শেষ সাত-আট বছরে ইউসি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নিয়ে চিন্তায় আছে দপ্তরগুলি। কাজ নিয়ে সংশয় বাড়ছে।