মোদীর অমৃতকালে দেশবাসীর মাথায় বেড়েছে ঋণের বোঝা, ‘আচ্ছে দিন’কে খোঁচা বিরোধীদের

মাথাপিছু ঋণ গত দু’বছরে গড়ে ৯০ হাজার টাকা বেড়েছে। মাথাপিছু ঋণ বৃদ্ধি নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক।

July 3, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:১০: বিজেপি দাবি করে, মোদীর শাসনে দেশে নাকি অমৃতকাল চলছে। কিন্তু আদপে কি তাই? রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ফিনান্সিয়াল স্টেবিলিটি রিপোর্টে উঠে এসেছে উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান। ২০২৩ সালের মার্চে দেশে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। ২০২৫ সালের মার্চে যা বেড়ে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। সাফ কথায়, মাথাপিছু ঋণ গত দু’বছরে গড়ে ৯০ হাজার টাকা বেড়েছে। মাথাপিছু ঋণ বৃদ্ধি নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ঋণের কিস্তি মেটাতে আম জনতার আয়ের এক-চতুর্থাংশই চলে যাচ্ছে। মোদী আমলে সাধারণ মানুষের আর্থিক দুর্দশা নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস।

কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশের কটাক্ষ, নিজেদের খামতি ঢাকতে মরিয়া মোদী সরকার। মোদী আমলে আম আদমির কাঁধে ঋণের বোঝা বাড়ছে, তা কিছুতেই লুকানো যাচ্ছে না। আম দেশবাসীর রোজগারের ২৫.৭ শতাংশই চলে যাচ্ছে ঋণের কিস্তি মেটাতে মেটাতে। তিনি আরও লিখেছেন, গত ১১ বছরে (মোদীর শাসনকালে) দেশের অর্থনীতির কোমর ভেঙে গিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, সাধারণ মানুষের হাল ফেরানোর কোনও চেষ্টাই করা হয়নি। উল্টে ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিদের স্বার্থরক্ষা জন্যই ব্যস্ত মোদী সরকার। ২০১৪ সালে ‘আচ্ছে দিনে’র প্রতিশ্রুতি দিয়ে গদিতে বসেছিলেন মোদী। একেই আচ্ছে দিনের ঋণ বলে একহাত নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা।

বাড়তে থাকা মূল্যবৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপে পরিবারগুলি আর সংসার চালাতে পারছে না। তারা বাধ্য হয়ে ঋণ নিচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের কর্মহীন। কৃষকরা আত্মহত্যা করছেন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ন্ত্রণের রাশে বেঁধে ফেলা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ঋণের ভারে জর্জরিত। মোদী তথা বিজেপির শিল্পপতি বন্ধুদের মুনাফা বাড়ছে। সম্পদে ফুলে ফেঁপে উঠছেন মুষ্টিমেয় কিছু লোক। প্রশ্ন, তবে কি আম জনতার জন্য মোদীর ভারতে ঋণের বোঝা ছাড়া কিছুই নেই?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen