দেশে দেশে পৌঁছল ট্রাম্পের শুল্ক চিঠি, কোন পথে ভারত-আমেরিকার বাণিজ্যচুক্তি?

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৪৭: ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে একের পর এক চমক চলছেই। দেশে দেশে বাণিজ্য শুল্ক চাপানো, বেআইনি অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো, যুদ্ধ থামানো, মাস্কের সঙ্গে ঝামেলা… চমকের অন্ত নেই! ভারতীয় সময় অনুযায়ী, সোমবার রাতভর ১৪টি দেশে ট্রাম্পের শুল্ক-চিঠি পৌঁছেছে। চীনের সঙ্গে আগেই বাণিজ্য চুক্তি সেরেছেন ট্রাম্প। তখনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ভারতের সঙ্গেও চুক্তি হবে। কতদূর প্রশস্ত হল ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তির পথ?
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে বসেই বিশ্বব্যাপী শুল্কযুদ্ধের ঘোষণা করেন। ট্রাম্পের শুল্ক নীতির জেরে নয়াদিল্লির চাপ বাড়ে। সেই নীতির উপর ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আজই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
বাংলাদেশ, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, বসনিয়া, তাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, সার্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তিউনিশিয়া, মায়ানমার, লাওস, দক্ষিণ আফ্রিকা, কাজাখস্তান এবং মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রনেতাদের কাছে পৌঁছেছে ট্রাম্পের চিঠি। গত এপ্রিলে বাংলাদেশি পণ্যের উপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন ট্রাম্প। তা দুই শতাংশ কমল। জাপান এবং মালয়েশিয়ার উপর শুল্ক সামান্য বৃদ্ধি করেছে আমেরিকা। আগে দুই দেশের উপর ২৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। সোমবার এক শতাংশ করে বৃদ্ধি করে আগামী ১ আগস্ট থেকে দুই দেশের পণ্যেই ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। কাজাখস্তানের ২৭ শতাংশ থেকে কমে ২৫ শতাংশ, লাওসের ৪৮ শতাংশ থেকে কমে ৪০ শতাংশ, মায়ানমারের ৪৪ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ, টিউনিশিয়ার ২৮ শতাংশ থেকে কমে ২৫ শতাংশ, সার্বিয়ার ৩৭ শতাংশ থেকে কমে ৩২ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ৪৯ শতাংশ থেকে কমে ৩৬ শতাংশ, বসনিয়ার ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ৩০ শতাংশ হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, তাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রেও শুল্ক অপরিবর্তিত রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ভারত এবং আমেরিকার বাণিজ্যচুক্তি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। উল্লেখ্য, ব্রিকসকে শুল্ক নিয়ে সম্প্রতি হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ব্রিকস-র আমেরিকা বিরোধী নীতিকে কোনও দেশ সমর্থন করলে, তাদের উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। শুল্ক ঘোষণার সময় ট্রাম্প জানান, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ব্রিটেন, চীনের সঙ্গে আমেরিকা চুক্তি করে ফেলেছে। ভারতের সঙ্গে চুক্তিও প্রায় চূড়ান্ত। অন্যদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন, তবে তাদের সঙ্গে চুক্তি করাটা সম্ভব নয়। তাই তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছেন কতখানি শুল্ক চাপানো হবে। ন্যায্য কারণ থাকলে অবশ্যই এই দেশগুলির শুল্কের হার নিয়ে বিবেচনা করবেন বলেও জানান ট্রাম্প।
ব্রিকসের সদস্য হলেও ট্রাম্পের অতিরিক্ত করের বোঝা ভারতের উপর চাপবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার কবে ভারত-আমেরিকার বাণিজ্যচুক্তি করে।