National Overseas Scholarship: বিদেশে পড়তে যাওয়া পড়ুয়াদের বৃত্তি দেওয়ার টাকা নেই মোদী সরকারের
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৩০: ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক (Ministry of Social Justice and Empowerment) তাদের ন্যাশনাল ওভারসিজ স্কলারশিপ (National Overseas Scholarship) প্রকল্পের অধীনে নির্বাচিত ১০৬জন পড়ুয়ার মধ্যে মাত্র ৪০জনকে প্রোভিশনাল স্কলারশিপ চিঠি দিয়েছে। বাকি ৬৬জনকে জানানো হয়েছে, বরাদ্দ অর্থ থাকলে পরে তাদেরও চিঠি দেওয়া হতে পারে।
আগে যেভাবে সব নির্বাচিত প্রার্থীকে একসাথে চিঠি দেওয়া হতো, এবার তেমনটা হয়নি – এই তথ্য হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে।
এই স্কলারশিপ মূলত তফসিলি জাতি (Scheduled Castes), বিমুক্ত যাযাবর সম্প্রদায়, ভূমিহীন কৃষিশ্রমিক ও ঐতিহ্যবাহী কারিগর সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য দেওয়া হয়। এটি শুরু হয়েছিল ১৯৫৪-৫৫ সালে, জহরলাল নেহরুর প্রধানমন্ত্রীত্ব কালে।
চলতি বছরে মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে মোট ৪৪০টি আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে ১০৬জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে, ৬৪জনকে “নন-সিলেক্টেড” তালিকায় রাখা হয়েছে এবং ২৭০টি আবেদন বাতিল হয়েছে।
যারা “নন-সিলেক্টেড” তালিকায় রয়েছেন, তাদের অনেকেই বাদ পড়েছেন রাজ্যভিত্তিক ১০% কোটা বা অন্যান্য নিয়মের কারণে। তবে যদি নির্বাচিত কেউ কাগজপত্র ঠিকমতো জমা না দেন, তাহলে এই তালিকা থেকে কিছুজন সুযোগ পেতে পারেন।
এই প্রকল্পে প্রতি বছর ১২৫টি শূন্যস্থান থাকলেও, কাকে স্কলারশিপ দেওয়া হবে তা পুরোপুরি নির্ভর করে সরকারের হাতে থাকা অর্থের উপর। অর্থাৎ, যারা এখনো পাননি, তাদের আশা পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি।
এই নতুন পদ্ধতিতে অনেক ছাত্রছাত্রীর মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন – দেশের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য গঠিত এত পুরনো একটি প্রকল্পে হঠাৎ এমন আর্থিক অনিশ্চয়তা কেন? কেন আগে থেকে অর্থ বরাদ্দ করে রাখেনি মোদী সরকার, বা সেই অর্থ কী ‘বেটি বাঁচাও…’-এর মত কোনো প্রচার-সর্বস্য প্রকল্পে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে? উঠছে প্রশ্ন।