মোদীর স্বপ্নের জনধন যোজনার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে চলছে সাইবার প্রতারণা কারবার?
নিষ্ক্রিয় জনধন অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে চলছে সাইবার প্রতারণা! RBI-এর ‘মিউল হান্টার’ অভিযান ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে দেওয়া নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:৪৬: সাইবার প্রতারণার কারবার চলছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাধের জনধন যোজনার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে, এমনই তথ্য সামনে এসেছে। গোটা দেশে জনধন যোজনায় খোলা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা সব মিলিয়ে ৫৫ কোটি ৭০ লক্ষ। যার মধ্যে প্রায় দেড় কোটিই এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে। এই নিষ্ক্রিয় জনধন অ্যাকাউন্টগুলিকে সাইবার প্রতারণায় হাতিয়ে নেওয়া টাকা ট্রান্সফারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে নেমেছে আসরে।
বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে আরবিআইয়ের সুপারিশ, নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দেওয়া হোক। দীর্ঘ সময় ধরে যে জনধন অ্যাকাউন্টগুলিতে আর্থিক লেনদেন হয়নি, সেগুলিই বন্ধ করে দেওয়া হবে। নিষ্ক্রিয় দেড় কোটি অ্যাকাউন্টের সবগুলিই বন্ধ করে দেওয়া হবে কি-না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
জনধন অ্যাকাউন্ট নিয়ে সাফল্যের ঢাক পেটাতে ত্রুটি করেননি মোদী। কিন্তু আদতে দেখা যায়, জনধন অ্যাকাউন্টের বিপুল সংখ্যক জিরো ব্যালান্স হয়েই পড়ে রয়েছে। দেশের গরিব মানুষ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলছে, কিন্তু টাকা রাখেনি। অর্থাৎ সঞ্চয় করার মতো আয় বহু মানুষের নেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানাচ্ছে, নিষ্ক্রিয় জনধন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা গত ডিসেম্বরের তুলনায় বেড়েই চলেছে। সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে হাতিয়ে নেওয়া টাকা নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকা জনধন অ্যাকাউন্টে জমা করার প্রবণতাও বাড়ছে। তবে কি প্রতারকদের সেফ করিডর হয়ে উঠেছে জনধন অ্যাকাউন্ট?
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ‘মিউল হান্টার’ নামক বিশেষ তদন্ত অভিযান শুরু করেছে। তদন্তে জানা যাচ্ছে, কেবল ছয় মাসে ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার অধীনে থাকা এমন ‘নিষ্ক্রিয়’ জনধন অ্যাকাউন্টগুলিকে ১৪৭ কোটি টাকার প্রতারণার ব্যবহার করা হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত আর্থিক বছরে মোট ১৩,৫১৬টি ডিজিটাল প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে, যার আর্থিক মূল্য ৫২০ কোটি টাকা। দেখা যাচ্ছে, বিগত বছরগুলিতে শুধুমাত্র ডিজিটাল প্রতারণার লক্ষ্য নিয়ে একের পর এক জনধন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।
এবার নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। প্রাথমিকভাবে প্রত্যেক অ্যাকাউন্টের কাছে কেওয়াইসি চাওয়া হবে। তারপর যাচাই হবে।তৃতীয় ত্রৈমাসিক থেকে শুরু হবে কেওয়াইসি গ্রহণ ও যাচাই পর্ব। তারপর অ্যাকাউন্ট বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে। যে অ্যাকাউন্টগুলি নিষ্ক্রিয় এবং যেগুলির মাধ্যমে ডিজিটাল প্রতারণা হচ্ছে, আগে সেগুলি চিহ্নিত হবে।