ভিনরাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক কেন ‘হেনস্তা’? পরিষ্কার জবাব চাইল হাই কোর্ট

দিল্লিতে বীরভূমের পাইকরের ছ’জন শ্রমিককে আটক করা হয়। বীরভূমের দুই পরিবারের আইনজীবীর বক্তব্য, কাজের জন্যই দিল্লিতে গিয়েছিলেন ওই শ্রমিকেরা

July 10, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:৪৪: ভিনরাজ্যে বারবার বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার অবিলম্বে মুখ্যসচিবকে পদক্ষেপের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court)।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, কেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের (migrant labourers) আটকে রাখা হয়েছে? কিসের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে? কোনও এফআইআর দায়ের হয়েছে কি? আটক করার পরে ওই পরিযায়ীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? এখন তাঁরা কোথায় রয়েছেন?

রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে হাই কোর্টের নির্দেশ, আদালতের এই প্রশ্নগুলো ওড়িশার (Odisha) মুখ্যসচিবকে পাঠাতে হবে। তাঁর জবাব দেখে আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

অভিযোগ, ওড়িশায় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েক জন পরিযায়ী শ্রমিককে আটক করা হয়েছিল। তাঁদের কেউ মালদহ, কেউ মুর্শিদাবাদ, কেউ আবার বীরভূমের বাসিন্দা। বেশ কয়েক দিন ধরে তাঁদের সঙ্গে পরিবারের লোকেরা যোগাযোগ করতে না পারার পরেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ওড়িশার মুখ্যসচিবকে চিঠিও লিখেছিলেন। তা নিয়ে টানাপড়েনের আবহে ওড়িশা থেকে বেশ কয়েক জন শ্রমিকের রাজ্যে ফিরে আসার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। কিন্তু সে রাজ্যে আটক হওয়া সকলেই ফিরেছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

তার পর দিল্লিতে বীরভূমের পাইকরের ছ’জন শ্রমিককে আটক করা হয়। বীরভূমের দুই পরিবারের আইনজীবীর বক্তব্য, কাজের জন্যই দিল্লিতে গিয়েছিলেন ওই শ্রমিকেরা। কিন্তু এখনও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাঁরা এখন কোথায়, তা-ও জানেন না পরিবারের লোকেরা।

গত কয়েকমাস ধরেই বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বিভিন্ন রাজ্যে অত্যাচারিত হওয়ার অভিযোগ উঠছে। কখনও মারধর, কখনও তাঁদের উপর হামলা, লুটপাট, উপার্জন কেড়ে নেওয়া, কখনও আবার পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ শোনা গিয়েছে। এনিয়ে অভিযোগ জানালে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না বলেও তাঁরা অভিযোগ করেছেন। এসব খবর কানে পৌঁছতেই অবশ্য রাজ্যের তরফে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য গঠিত কমিটির তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম তড়িঘড়ি তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen