বাংলাদেশে আবুল বরকতের গ্রেপ্তারে উঠছে প্রশ্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও জনতা ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।

July 12, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ও জনতা ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবুল বরকত (ছবি সৌজন্যে: প্রথম আলো)

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:০২: বাংলাদেশে (Bangladesh) গ্রেপ্তার হলেন সংখ্যালঘুদের অধিকারের পক্ষে সরব থাকা খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ আবুল বরকত (economist Abul Barkat)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) সাবেক অধ্যাপক ও জনতা ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে গভীর রাতে তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। অভিযোগ ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।

বরাবরই নিপীড়িত হিন্দুদের পক্ষে সরব ছিলেন বরকত। তিনি একবার মন্তব্য করেছিলেন, “এই গতিতে চলতে থাকলে আগামী ৩০ বছরে বাংলাদেশে কোনও হিন্দুই অবশিষ্ট থাকবে না।” তাঁর এমন স্পষ্ট বক্তব্যের জন্য বহুবার মৌলবাদী গোষ্ঠীর নিশানায় পড়েছেন। জামাত-ই-ইসলামির মতো উগ্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, বরকতের গ্রেপ্তার নিছক দুর্নীতির অভিযোগ নয়, বরং সরকারের সমালোচকদের দমন করার একটি রাজনৈতিক কৌশল। বিশেষত জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ফের বাড়তে শুরু করেছে। এর আগে হিন্দু মন্দিরে হামলা, ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তার, মন্দিরে ভাঙচুর ইত্যাদি ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে।

ভিন্নমতকে দমন করতেই কি এই পদক্ষেপ? প্রশ্ন উঠছে—এটাই কি নতুন বাংলাদেশ, যেখানে সংখ্যালঘুদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হয়? ভারত সরকারও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen