বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থা, প্রতিবাদে পথে নামছেন মমতা-অভিষেক
বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষীদের বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে মমতা এবং অভিষেকের রাস্তায় নামা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছেন অনেকে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৫১: বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাংলা ভাষায় কথা বলা মানুষদের হেনস্থা করা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বাংলা সংস্কৃতি ও তার পরিচয়ের উপর বিজেপির (BJP) “সংঘবদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক আক্রমণ” বন্ধে রাজপথে নামার ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। দলীয় এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে জানানো হয়েছে, এই আঘাত আর সূক্ষ্ম নয়— এটা এখন “সংগঠিত, নিরবচ্ছিন্ন এবং গভীরভাবে সাম্প্রদায়িক”। কলকাতার ওই মিছিলে মমতার সঙ্গে থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee)।
কলজে স্কোয়্যার থেকে শুরু হয়ে মিছিল পৌঁছবে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে। মিছিল শেষে বক্তৃতাও করার কথা মমতার (Mamata Banerjee)। বলতে পারেন অভিষেকও। আগামী সোমবার (২১ জুলাই) তৃণমূলের বার্ষিক সমাবেশ। তার পাঁচ দিন আগে বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষীদের বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে মমতা এবং অভিষেকের রাস্তায় নামা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছেন অনেকে।
ঘটনা হল, সম্প্রতি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আদমশুমারির প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, যাঁরা নিজেদের মাতৃভাষা বাংলা বলছেন, তাঁরা নাকি ‘বাংলাদেশি’। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তৃণমূলের মতে, এটা সরাসরি বাংলা ভাষা ও বাঙালি পরিচয়ের অপমান।
এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদে নেতৃত্ব দিতে মঙ্গলবার কলকাতার রাস্তায় নামছেন মমতা-অভিষেক।২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ‘বাংলা ও বাঙালি’ ছিল তৃণমূলের অন্যতম মূল স্লোগান। যার নেপথ্যে কাজ করেছিল পরামর্শদাতা সংস্থা আইপ্যাকের সমীক্ষা থেকে উঠে আসা নির্যাস এবং পরামর্শ। মূল স্লোগান ছিল— ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’। সমান্তরাল ভাবে বিজেপি নেতাদের ‘বহিরাগত’, ‘বাংলা-বিরোধী’ বলে আখ্যান তৈরি করেছিল জোড়াফুল শিবির। সেই স্লোগান তৈরির সঙ্গে পুরোদস্তুর জুড়ে ছিলেন অভিষেকও। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও তৃণমূলের স্লোগান ছিল—‘জনগণের গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন’। সেখানেও অভিষেকের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। সেই সূত্রেই মনে করা হচ্ছে, মমতা এবং অভিষেকের একসঙ্গে রাস্তায় নামা আসলে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের ভাষ্য তৈরির নান্দীমুখ ঘটাতে চলেছে।