DVC-র জল ও ভারী বর্ষণে ৪ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি, মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৩০: দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি জটিল, মুখ্যমন্ত্রীর জরুরি পদক্ষেপ। টানা বৃষ্টি ও ডিভিসির জলছাড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম ও হুগলির একাধিক গ্রাম প্লাবিত। মঙ্গলবার নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সংবাদমাধ্যমকে জানান, “ডিভিসি একতরফাভাবে জল ছেড়ে বিপদ ডেকে আনছে। এতে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন।”
বন্যা মোকাবিলায় (Flood) রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা। সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের পাঠানো হয়েছে জেলার দায়িত্বে। যাতে পরিস্থিতির উপর সরাসরি নজর রাখা যায় এবং দ্রুত ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চালানো যায়।
কোন জেলা কার দায়িত্বে?
১) পশ্চিম মেদিনীপুর: জনস্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব সুরেন্দ্র গুপ্ত, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের প্রিয়াঙ্ক সিংহ, স্বাস্থ্য দপ্তরের ইউনিস ঋষিণ ইসমাইল এবং কৃষি দপ্তরের হৃষীকেশ মোদীকে দায়িত্বে রাখা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় খাদ্য, পানীয় জল, চিকিৎসা এবং আশ্রয়ের ব্যবস্থা করবেন তাঁরা।
২) পূর্ব বর্ধমান: নিযুক্ত হয়েছেন ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের নীলম মীনা ও ভূমি ও রেকর্ড দপ্তরের বিভু গোয়েল। নদীর জলস্তর বাড়লে বা কোথাও বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩) বীরভূম: শিল্প দপ্তরের বন্দনা যাদব এবং অর্থ দপ্তরের দেবীপ্রসাদ করণম দায়িত্বে রয়েছেন। নদী-খালের জল গ্রামে ঢুকে পড়ায় উদ্ধার ও পুনর্বাসনের দিকেই বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে।
৪) হুগলি: শিক্ষা দপ্তরের সচিব বিনোদ কুমার এবং পর্যটন নিগমের এমডি অভিষেক কুমার তিওয়ারিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জল ঢুকলে স্কুল বা পর্যটন এলাকায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া, আশ্রয় শিবির গঠন করা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ করছেন তাঁরা।
নবান্নে (Nabanna) ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রতিটি জেলা থেকে পরিস্থিতির আপডেট পাঠানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। জল জমে থাকলে বা বিপদে পড়লে স্থানীয় বিডিও অফিস অথবা জেলা প্রশাসনের হেল্পলাইনে (HelpLine) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
প্রশাসনিক মহলের আশা, এই দ্রুত ও সমন্বিত পদক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। তবে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী দিনে বৃষ্টির পরিমাণ ও ডিভিসি-র জলছাড়ার মাত্রা বাড়লে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। সেই কারণে আগাম প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না রাজ্য সরকার।