তিন বিদেশির সইয়ে ইস্টবেঙ্গলের শক্তিবৃদ্ধি, Durand Cup-র আগে বাড়ছে প্রত্যাশা

গত এশিয়ান কাপে প্যালেস্তাইনকে শেষ ষোলোয় তুলতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। পার্সেবায়ার হয়ে খেলেছেন ৩৩টি ম্যাচ, করেছেন ৬টি গোল।

July 18, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৪৭: দলবদলের বাজারে ঝড় তুলেছে শতাব্দী প্রাচীন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। এই মরশুমে বাকি সব দলের থেকে অনেক আগেই দলগঠনের কাজ শুরু করেছিল লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। ফিফার সামার ট্রান্সফার উইন্ডো খোলার পরেই একাধিক নতুন দেশীয় ফুটবলারকে দলে সই করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এবার একই দিনে তিন বিদেশির নাম ঘোষণা করল ক্লাব। এই তিন বিদেশি হলেন, ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মিগুয়েল ফিগুয়েরা (৮), আর্জেন্টাইন স্টপার কেভিন সিবিলে (৬) এবং প্যালেস্তাইনের মিডফিল্ড জেনারেল মহম্মদ রশিদ (৭৪)। এই তিন ফুটবলারের দলে যোগদানে লাল-হলুদ ব্রিগেড যে আরও শক্তিশালী হয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

মিগুয়েল অস্কার ব্রুজ়োর অধীনে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে অসাধারণ সাফল্য পেয়েছিলেন। পরপর তিনবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ জেতা ছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে দু’টি ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপ। বসুন্ধরার হয়ে ৬৪টি ম্যাচে করেছেন ৩৭টি গোল এবং ২৬টি অ্যাসিস্ট, একজন প্লে-মেকারের পক্ষে এই পরিসংখ্যান বেশ নজরকাড়া। ব্রাজিলের ক্লাব গোইয়াস ইসি থেকে বসুন্ধরায় যোগ দেন মিগুয়েল। এবার ইস্টবেঙ্গলের হয়ে শুরু করতে চলেছেন নতুন ইনিংস। ডুরান্ড কাপ শুরুর আগেই শহরে এসে পৌঁছবেন তিনি। সম্ভবত ২০ জুলাই মধ্যরাতে কলকাতার মাটি ছোঁবেন।

অন্যদিকে, প্যালেস্তাইনের জাতীয় দলের ডিফেন্ডার রশিদ এসেছেন ইন্দোনেশিয়ার পার্সেবায়া সুরাবায়া ক্লাব থেকে। গত এশিয়ান কাপে প্যালেস্তাইনকে শেষ ষোলোয় তুলতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। পার্সেবায়ার হয়ে খেলেছেন ৩৩টি ম্যাচ, করেছেন ৬টি গোল। শুধু রক্ষণেই নয়, আক্রমণেও বেশ পারদর্শী রশিদ।

তৃতীয় বিদেশি হিসেবে দলে যোগ দিয়েছেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার সিবিলে। রিভার প্লেট অ্যাকাডেমি থেকে ফুটবলযাত্রা শুরু। এরপর খেলেছেন আতলেতিকো বালেয়ারেস, সিডি কাস্তেলন এবং সর্বশেষে এসডি পনফেরাদিনার হয়ে।

তিন বিদেশি সই নিয়ে কোচ অস্কার ব্রুজ়ো বলেন, “আক্রমণভাগের খেলা একক দক্ষতায় বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে মিগুয়েলের। এখন ও ফুটবলজীবনের সেরা ফর্মে আছে। দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গোল করার দুর্দান্ত রেকর্ড ওর আছে। কেভিন শুধু একজন সেন্টার ব্যাকই নয়, আক্রমণ তৈরি করতেও সাহায্য করে। বল কাড়তে, লং বল দিতে এবং পাস করতেও ও খুব ভালো। রশিদ খেলেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে। বিপক্ষের থেকে বল কাড়তে ও ওস্তাদ। ওর মধ্যে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাও রয়েছে।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen