শান্তিনিকেতনে হেরিটেজ ওয়াক: পর্যটকদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা আনতে উদ্যোগ বিশ্বভারতীর
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রবীরকুমার ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, শান্তিনিকেতনের মূল আশ্রম চত্বরে পর্যটকদের জন্য এই হেরিটেজ ওয়াক চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:২৬: শান্তিনিকেতন মানেই এক অপরূপ সুন্দর জায়গা। এখানকার পরিবেশ, বসতি, মুগ্ধ করে সকল মানুষদের। এবার শান্তিনিকেতনের(Santiniketan)ঐতিহ্য, পরিবেশ ও স্থাপত্য আরও কাছ থেকে অনুভব করার এক নতুন সুযোগ এনে দিতে চলেছে বিশ্বভারতী(Biswabharati)। আসতে চলেছে ‘হেরিটেজ ওয়াক’(Heritage Walk)। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রবীরকুমার ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, শান্তিনিকেতনের মূল আশ্রম চত্বরে পর্যটকদের জন্য এই হেরিটেজ ওয়াক চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইউনেস্কোর(UNESCO)নির্দেশিকা মেনে শান্তিনিকেতনের কোর হেরিটেজ এরিয়া ঘিরেই তৈরি হচ্ছে মোরামের রাস্তা, যার দুই পাশে থাকবে সিমেন্টের স্ল্যাব ও ফুলগাছ। ঐতিহ্যবাহী এই আশ্রম এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ন রেখে তৈরি হচ্ছে এই রাস্তা। বিশ্বভারতীর নিজস্ব সংরক্ষিত মোরাম ব্যবহার করেই কাজ চলছে।
হেরিটেজ ওয়াকের সময়সীমা হবে দেড় ঘণ্টা। প্রথম দফায় পরীক্ষামূলকভাবে প্রতি রবিবার এটি চালু থাকবে। দর্শনার্থীদের ঘোরানো হবে পাঠভবন আশ্রম, নতুন বাড়ি, শান্তিনিকেতন ভবন, উপাসনাগৃহ, সিংহসদন এবং কালোবাড়ি। শেষ পর্বে সঙ্গীত ভবনে পাঁচ মিনিটের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড লিভিং হেরিটেজ সাইট’-এর স্বীকৃতি পায়। তবে করোনার পর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে ক্যাম্পাসে প্রবেশ বন্ধ ছিল। বর্তমান উপাচার্য সেই রুদ্ধদ্বার আবার খুলতে উদ্যোগী হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হেরিটেজ ওয়াক সফল হলে নভেম্বর মাস থেকে এটি সপ্তাহে পাঁচ-ছয় দিন চালু করা হবে। এক দিনে চারটি ব্যাচে হেরিটেজ ট্যুর হবে, প্রতিটি ব্যাচের সঙ্গে থাকবেন চারজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক। প্রাথমিকভাবে টিকিটের ব্যবস্থা থাকবে অফলাইনে, তবে নভেম্বর থেকে চালু হবে অনলাইন বুকিংও। এর জন্য একটি নির্দিষ্ট এজেন্সি নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
শ্রীনিকেতনেও পর্যটন উন্নয়নের কাজ চলছে। যানজট এড়াতে বিকল্প হাঁটার পথ তৈরি করা হচ্ছে সুবর্ণরেখার মোড় থেকে রবীন্দ্রভবন পর্যন্ত বিশ্বভারতীর এই উদ্যোগে রোমাঞ্চিত রবীন্দ্রনাথের-ভক্তরা। শুধু ঘোরাঘুরি নয়, একসঙ্গে মিলবে ইতিহাস, সংস্কৃতি অনুভবের অনন্য অভিজ্ঞতা।