SSC: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও হস্তক্ষেপ নয়, স্পষ্ট জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের জেরে ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল বাতিল হয়ে যায়। যার ফলে ২৫,৭৩৫ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি খারিজ হয়ে যায়

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:১৬: এসএসসি নয়া বিধি মামলায় হস্তক্ষেপই করল না সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ সোমবার জানান, তাঁরা এই অবস্থায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবেন না।
এদিন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারীদের উদ্দেশে সোজাসাপটা প্রশ্ন তোলেন, “আপনারা কারা? যোগ্য না অযোগ্য? অযোগ্যদের তো বাদ দেওয়া হয়েছে।” এবং সাফ জানিয়েও দেন, “আমরা কোথাও বলিনি, আগের বিধি মেনে নিয়োগ চালু রাখতে হবে। আমাদের রায় ছিল নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার পক্ষে। কিন্তু সেখানে কীভাবে নিয়োগ হবে, সেটা নির্ধারণের দায়িত্ব এসএসসি-র।”
বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন, “চিহ্নিত অযোগ্যরা এমনিই বাদ হয়ে গিয়েছে। তারা পরীক্ষায় বসছে না। ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকরা পরীক্ষায় বাড়তি সুযোগ পেলে ক্ষতি কি? তাঁদের তো পড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা কখনও বলিনি রুলস ফ্রোজেন। নতুন বিধি আনার ক্ষমতা এসএসসির আছে। আমরা কখনও বলিনি কোন বিধি অনুযায়ী নিয়োগ হবে।” এই যুক্তি মামলা গ্রহণই করল না সুপ্রিম কোর্ট।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের জেরে ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল বাতিল হয়ে যায়। যার ফলে ২৫,৭৩৫ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি খারিজ হয়ে যায়। ২০২৪ সালের সেই রায় এসেছিল তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ থেকে, যার সদস্য ছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমারও।
সেই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই এসএসসি নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু সেই বিজ্ঞপ্তির কিছু অংশ নিয়ে আপত্তি তোলেন কিছু প্রার্থী, বিশেষ করে আগের ওয়েটিং লিস্টে থাকা ব্যক্তিরা। তাঁদের দাবি, পুরনো নিয়ম অনুযায়ীই নতুন নিয়োগ হোক। সেই দাবিতেই কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন তাঁরা।
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলাগুলিও খারিজ করে দেয়। আদালতের সাফ বার্তা, “কমিশন ও পর্ষদ বর্তমান অচলাবস্থার জন্য দায়ী হলেও, দ্রুত শূন্যপদ পূরণ করাই এখন মূল লক্ষ্য। না হলে ভবিষ্যতে জটিলতা আরও বাড়বে।”