কৃষি বিল – প্রশ্ন উঠছে ডেপুটি চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়ে
গত ২০শে সেপ্টেম্বর রাজ্যসভায় পাশ হয় কৃষি সংক্রান্ত দুটি বিল। হই-হট্টগোলের মধ্যেই ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে পাশ হয় এই বিলগুলি। বিরোধীদের প্রবল বিক্ষোভ সত্ত্বেও সংশোধনী হয়নি কোনও বিলেই। বিরোধীদের দাবি গায়ের জোরে বিল পাশ করায় কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের পক্ষের মত, বিরোধীরা ওয়েলে নেমে এসেছিল, তাই ভোটাভুটি হয়নি।
করোনার জেরে বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভার মেয়াদ ছিল দুপুর ১টা পর্যন্ত। কিন্তু কৃষি বিল সংক্রান্ত আলোচনা শেষ হয়নি। তাই উপসভাপতি মেয়াদ বাড়াতে চান। কিন্তু তাতে নারাজ ছিল বিরোধীরা। তাদের দাবি আলোচনা চলুক সোমবারেও। ডেপুটি চেয়ারম্যান সেই দাবি নাকচ করে দেন এবং শুরু হয় প্রতিবাদ। হই-হট্টগোলের মধ্যেই গায়ের জোরে বিল পাশ করায় সরকার। দেখুন ভিডিও
ডেপুটি চেয়ারম্যান দাবি করেছেন বিরোধীরা নিজেদের আসলে ছিলেন না তাই সংশোধনী বা ভোটাভুটির দাবি গৃহীত হয়নি। কিন্তু রাজ্যসভার ফুটেজ অন্য কথা বলছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ডিএমকে সাংসদ তিরুচি শিবা এবং সিপিএম সাংসদ কে কে রাগেশ তাদের আসনেই ছিলেন। দেখুন ভিডিও।
সেদিন আরও একটি দাবি করা হয়েছিল বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের তরফে, যে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন সেদিন রুলবুক ছিড়েছিলেন। যদিও ভিডিও দেখলে স্পষ্ট বোঝা যায় তিনি ডেপুটি চেয়ারম্যানকে রুলবুক দেখাচ্ছিলেন, বইটি ছেঁড়েননি। দেখুন ভিডিও।
এই ফুটেজ থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ২০শে সেপ্টেম্বর গণতন্ত্র ভুলন্ঠিত হয়েছিল রাজ্যসভায়। উপসভাপতির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, কেন নিয়মের ধার না ধেরে গায়ের জোরে বিল পাশ হল। এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো দেবেন দেশের জনগণ।