মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরকে স্বশাসিত করতে মুখ্য সচিবকে চিঠি কমিশনের
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরকে রাজ্য সরকারের অধীন থেকে স্বতন্ত্র করতে চেয়ে মুখ্য সচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:০৯: বিতর্কের মধ্যেই বাংলায় বড় পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরকে রাজ্য সরকারের অধীন থেকে স্বতন্ত্র করতে চেয়ে মুখ্য সচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
এই নির্দেশে স্পষ্ট হল, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর আর রাজ্যের অধীনে থাকবে না। এতদিন এই দফতর সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে পরিচালিত হত। কমিশনের বক্তব্য, প্রতিটি রাজ্যের এই বিভাগ স্বাধীন ভাবে পরিচালিত হয়। তাই বাংলার ক্ষেত্রেও এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই এই বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবকে।

ওয়াকিবহাল মহলের মধ্যে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসাবেই এই পদক্ষেপ করতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই মুহূর্তে বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। যাকে বলা হচ্ছে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী-সহ অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। তারা বলেছে, যাতে শুধুমাত্র যোগ্য ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটাদানের অধিকার পান সেটা নিশ্চিত করতেই এই সংশোধনী। বাংলার পর অন্যান্য রাজ্যেও এই বিশেষ সমীক্ষা করা হবে বলেই সূত্রের খবর।
তৃণমূলের অভিযোগ, কমিশনের এই পদক্ষেপ আসলে ঘুরপথে এনআরসির চেষ্টা। বেছে বেছে বিরোধী ভোটারদের এবং সংখ্যালঘুদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, আধার, ভোটার আইডি, রেশন কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। ফলে এইসব নথি ভোটার তালিকায় নাম থাকার জন্য বাধ্যতামূলক প্রমাণ হতে পারে না। কমিশনের বক্তব্য, দেশের ভোটার তালিকায় নাম থাকার ন্যূনতম যোগ্যতা হচ্ছে তাঁকে ভারতের নাগরিক হতে হবে। যে কারণে কমিশনের কর্তব্য ও দায়িত্ব হচ্ছে, সেই শর্ত পূরণ হচ্ছে কিনা তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার করা।