হাসিনার সঙ্গে Awami League-র নেতাদের সাক্ষাতে সবুজ সংকেত নয়া দিল্লির, প্রতিবেশী দেশ নিয়ে কী ভাবনা কেন্দ্রের?
হাসিনা দেশ ছাড়ার পর, তাঁদের পরিবারের অনেক নিকট আত্মীয় বিপদের মুখে পড়ে ভারতে চলে আসেন। তাঁদের কয়েকজন আওয়ামী লিগের নেতা এবং সাবেক সাংসদ।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:৪০: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সঙ্গে দেখা করবেন আওয়ামী লিগের (Awami League) শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা। দেশ ছাড়ার এক বছরের মাথায় দলের নেতাদের সঙ্গে মুখোমুখী বৈঠকে বসতে চলেছেন তিনি। ভারত সরকার এই বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে। ভারতের রাজনৈতিক আশ্রয়ে হাসিনা এখন দিল্লিতে অবস্থান করছেন। যদিও ভারত সরকার তাঁর অবস্থান সব সময় গোপন রেখেছে।
সম্প্রতি দিল্লির সবুজ সংকেতেই হাসিনার নিকট আত্মীয়রা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন।
গত কুরবানির ঈদের সময় মায়ের সঙ্গে দিন সাতেক ছিলেন হাসিনার মার্কিন প্রবাসী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। উল্লেখ্য, হাসিনা দেশ ছাড়ার পর, তাঁদের পরিবারের অনেক নিকট আত্মীয় বিপদের মুখে পড়ে ভারতে চলে আসেন। তাঁদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তাঁদের কয়েকজন আওয়ামী লিগের নেতা এবং সাবেক সাংসদ। দেশ ছাড়ার সময় হাসিনার সঙ্গী ছিলেন তাঁর বোন শেখ রেহানা।
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লিগ সভানেত্রী হাসিনার নিরাপত্তার স্বার্থে, তাঁর অবস্থান নিয়ে সতর্ক ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। একজন অতিথি রাষ্ট্রপ্রধানকে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদা দেওয়া হয়, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও তাই পাচ্ছেন। নিয়মিত তাঁর শরীর-স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। বাংলোয় তাঁর জন্য একটি অফিস বরাদ্দ রয়েছে। ভারত সরকারের পদস্থ আধিকারিকেরা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অফিসের কাজকর্ম দেখভাল করেন।
এতদিন হাসিনার সঙ্গে মেয়ে পুতুল, তাঁর সম্তান এবং দিল্লিতে পরিচিত কয়েকজনকেই দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লিগ তরফে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল হাসিনার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন। ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে একই মামলায় অভিযুক্ত হাসিনা ও কামাল। সেই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, মামলা নিয়ে আলোচনার জন্য তাঁকে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়।
আওয়ামী লিগের অনেক নেতাই দিল্লিতে আছেন। আওয়ামী লিগে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক মিলিয়ে ৮১ জনের সম্পাদকমণ্ডলী আছে। তাঁদের মধ্যে ন’জন প্রেসিডিয়াম সদস্য। হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বাদে ভারতে আছেন মাত্র দু’জন প্রেসিডিয়াম সদস্য। এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভারতে চলে এলেও দলের কাজে তাঁকে যুক্ত করা হয়নি। আর এক প্রেসিডিয়াম সদস্য হলেন মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জেল হোসেন চৌধিরী মায়া। সম্পাদকমণ্ডলী কমিটির সদস্য ৩৫ জন। তাঁদের মধ্যে সাত-আট জন ভারতে আছেন বলে খবর। কেন্দ্রীয় কমিটির ২৭ জনের মধ্যেও হাতেগানা কয়েকজন ভারতে আছেন। কিন্তু নেত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাননি তাঁরা। টেলিফোনে অনেকের সঙ্গেই কথা বলেন হাসিনা। যদিও সেই সংখ্যাও সীমিত। ফেসবুকে ভাষণ দিয়ে দল ও দেশবাসীর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেন তিনি। শীর্ষ নেতাদের মধ্যে থেকে কতজন হাসিনার সাক্ষাৎ পাবেন তা স্পষ্ট নয়। আওয়ামী লিগ নেত্রীর ইচ্ছাতেই ভারত সরকার চূড়ান্ত সবুজ সংকেত দেবে। সূত্রের খবর, আগামীকাল শনিবার এই সাক্ষাৎ হতে পারে।