সন্তানদের জন্য বাড়িতেই গড়ে তুলুন লিঙ্গ সাম্যের ভিত
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কর্মক্ষেত্র, মানুষের শিক্ষার কোনও শেষ নেই। আদি-অনন্ত কাল ধরে তা বহমান। আর এই শিক্ষার শুরু বাড়ি থেকে। পরিবারই শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার ভিত গড়ে। সেখান থেকেই লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সূত্রপাত করা যায়।
আপনার শিশুর মনকে ছেলে কিংবা মেয়ের তফাতের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষ হিসেবে ভাবতে শেখান। এর জন্য প্রথম থেকেই কিছু পদক্ষেপ নিন।
১) ও মা! ছেলেরা আবার মেয়েদের মতো কাঁদে নাকি? এই ধরনের মন্তব্য নিজে যেমন করবেন না কাউকে করতেও দেবেন না। প্রত্যেক মানুষের মনে আঘাত লাগলে তার প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার রয়েছে। ছেলে মানেই শক্তির প্রতীক আর মেয়ে মানেই কোমল, এই ধারণা ভুল।
২) পুতুল খেলা মোটেও ছেলেদের খেলা নয়। কেন? এমন চিন্তাধারা একেবারে প্রশ্রয় দেবেন না। মেয়েরা যেমন ক্রিকেট, ফুটবল খেলতে পারে, তেমনই ছেলেরাও পুতুল খেলতে পারে। খেলায় কোনওদিন লিঙ্গ বৈষম্য থাকে না। তা মনকে নির্মল আনন্দ দেয়। শিশুর জন্য খেলনা কেনার সময়ও তা মাথায় রাখবেন।
৩) শিশুর মনে লিঙ্গ সম্পর্কিত প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। মেয়ে ও ছেলের শারীরিক গঠনে কী তফাত থাকে? এই প্রশ্ন আপনার শিশু করলে তা এড়িয়ে যাবেন না। তার উত্তর খোলা মনে দিন। তাকেও স্বাভাবিকভাবে ভাবতে শেখান
৪) কখনও কখনও আপনার মেয়ে বলতে পারে সে ছেলেদের সঙ্গে খেলতে চায় না। আবার উলটো ক্ষেত্রে ছেলে শিশু বলতে পারে সে মেয়েদের সঙ্গে খেলতে চায় না। এক্ষেত্রে প্রথমে তাদের কথা মন দিয়ে শুনতে হবে। তারপর খুব ধৈর্য ধরে তাঁদের বোঝাতে হবে বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ের তফাত হয় না। বন্ধু শুধুমাত্র বন্ধুই হয়।
এভাবেই ভবিষ্যতের কারিগরদের গড়ে তুলুন। সুস্থ সমাজে তাদের স্বাভাবিকভাবে ভাবতে শেখান।