আওয়ামী লিগের সক্রিয়তা ঘিরে অশান্তির আশঙ্কা, চূড়ান্ত সতর্কতা বাংলাদেশে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১.৩৬: বর্তমানে আওয়ামী লিগের(Awami League) বহু নেতা দেশের বাইরে রয়েছেন এবং দলটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম অনেকাংশে বাংলাদেশে নিষ্ক্রিয়, তবুও তাদের ‘সক্রিয় উপস্থিতি’ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের(Bangladesh) মহম্মদ ইউনুস(Muhammad Yunus) সরকার। সরকারের দাবি, যে কোনও সময় আওয়ামী লিগ বড় ধরনের গোলযোগ তৈরি করতে পারে দেশে। এমনকি সরকারি অফিস দখলের চেষ্টাও করা হতে পারে বলে আশঙ্কা।
গোয়েন্দা পুলিশের দেওয়া এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৯ জুলাই থেকে ৮ অগস্ট পর্যন্ত এই সময়কে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেই সময়ের মধ্যে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নাশকতা বা রাজনৈতিক হামলার চেষ্টা হতে পারে। বিশ্বস্ত সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লিগের কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হচ্ছে এবং গোপনে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস বলেন, “পতিত স্বৈরাচার অর্থাৎ আওয়ামী লিগ এখনও দেশে সক্রিয় রয়েছে।” তাঁর মতে, তারা যে কোনও সময় দেশের স্থিতিশীলতা বিঘ্নি ঘটাতে পারে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, “আওয়ামী লিগের সদস্যরা বিদেশ পাচার করা অর্থের সাহায্যে দেশে রাজনৈতিক নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। তাদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে। যারা দেশে কিংবা বিদেশে বসে অশান্তির ছক আঁকছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা শাখা সোমবার গভীর রাতে একটি নির্দেশিকায় জানিয়েছে, ৮ অগস্ট পর্যন্ত গোটা দেশজুড়ে চূড়ান্ত সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল, সরকারি স্থাপনা ও জনবহুল এলাকাগুলিতে তল্লাশি ও নজরদারি জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লিগ অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দলের এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, “আমাদের নেতা-কর্মীদের দমন করতে এবং কাল্পনিক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার চালানোর ছক কষা হচ্ছে। সরকারের এই পদক্ষেপ গণতন্ত্রবিরোধী ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।”