মোহনবাগান দিবসে নেতাজি ইন্ডোরে জমকালো অনুষ্ঠান, টুটু বসু পেলেন মোহনবাগান রত্ন
সৌরেন্দ্র ও সৌম্যজিতের গানের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। একে একে সম্মাননা দেওয়া হয় এই বছরের সেরা ফুটবলার, স্ট্রাইকার, ক্রিকেটার, অ্যাথলেটদের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১.৪৫: সবুজ-মেরুন জনতার কাছে ২৯ জুলাই শুধুই একটি দিন নয়, বরং আবেগ, গর্বের আর ঐতিহ্যের এক স্মরণীয় দিন । সারা বছর ধরে এই দিনটার প্রতীক্ষায় থাকে আপামোর মোহনবাগান সমর্থকরা। তবে এবারের মোহনবাগান(Mohun Bagan Day) দিবস একটু বিশেষ, কারণ প্রাক্তন সভাপতি স্বপন সাধন বসু, অর্থাৎ টুটু বসুকে দেওয়া হলো ‘মোহনবাগান রত্ন’ সম্মান। গোটা ক্লাব চত্বর আলোয় ও উচ্ছ্বাসে ভরে উঠেছিল এই দিন।আজ সকালের কর্মসূচিতে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেও সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
সোমবার সন্ধ্যায় থেকেই ক্লাবে শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রস্তুতি। সচিব সৃঞ্জয় বসু নিজে সদস্যদের হাতে তুলে দেন অনুষ্ঠানের পাস। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় মোহনবাগান লেন থেকে অমর একাদশকে মাল্যদান করে শুরু হয় মশাল যাত্রা, যা শহর পরিক্রমা করে পৌঁছায় ক্লাব প্রাঙ্গণে। এরপর পতাকা উত্তোলন এবং প্রাক্তন ফুটবলারদের ‘রি-ইউনিয়ন’ ম্যাচ হয় মোহনবাগান মাঠে।
এই দিনের মূল অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় সন্ধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। সৌরেন্দ্র ও সৌম্যজিতের গানের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। একে একে সম্মাননা দেওয়া হয় এই বছরের সেরা ফুটবলার, স্ট্রাইকার, ক্রিকেটার, অ্যাথলেটদের। এরপরই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ — টুটু বসুর হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘মোহনবাগান রত্ন’।
এই ঐতিহাসিক দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তাও পৌঁছেছে মোহনবাগান ক্লাবে। তিনি লেখেন, “১৯১১ সালের এই জয় শুধু মোহনবাগানের নয়, গোটা জাতির গর্ব। যা খেলাধুলার গণ্ডি ছাড়িয়ে হয়ে উঠেছিল জাতীয় আত্মমর্যাদার প্রতীক।” তিনি মোহনবাগান পরিবারের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছাও জানান। সব শেষে সংগীত শিল্পী ইমন চক্রবর্তীর সংগীত অনুষ্ঠানদিয়ে শেষ হলো মোহনবাগান দিবস।