Indian Economy: মোদী সরকারের দাবি অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে! কী বলছে পরিসংখ্যান?

এই ঋণ বৃদ্ধির ধারা এক বছরের নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি।

July 30, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:১০: অর্থনীতি ঘুরছে নাকি ঘুরপাক খাচ্ছে? অর্থমন্ত্রকের সদ্য প্রকাশিত মাসিক ইকনমিক রিভিউ রিপোর্টে (Economic Review Report) দেখা যাচ্ছে, মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ভারতের বৈদেশিক ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩,৩০০ কোটি ডলারে। যেখানে ২০২৪ সালের জুনে ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৬,৮০০ কোটি ডলার, সেখানে ২০২৫ সালের জুনে তা বেড়েছে প্রায় ৭,০০০ কোটি ডলার। জিডিপির (GDP) অনুপাতে বিদেশি ঋণের হার ১৮.৫% থেকে বেড়ে ১৯% ছাড়িয়েছে।

সরকারের ব্যাখ্যা, টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় মূল্য বেড়ে যাওয়াই এই ঋণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। টাকার অবমূল্যায়নের ফলে অতিরিক্ত প্রায় ৫০০ কোটি ডলার যোগ হয়েছে হিসেবের খাতায়।

এই ঋণ বৃদ্ধির ধারা এক বছরের নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি।

  • ২০১৭ সালে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৪০,০০০ কোটি ডলার
  • ২০১৮-তে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০,০০০ কোটি ডলার

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) বারংবার হস্তক্ষেপ করেও টাকার পতন রোধে সফল হয়নি। আজ ভারতের মোট বৈদেশিক ঋণের ৫৪% ডলারে এবং মাত্র ৩.২% ইউরোয়। সরকারি ও বেসরকারি— উভয় ক্ষেত্রেই ঋণগ্রহণের হার ঊর্ধ্বমুখী।

সরকার আগেই জানিয়েছে, ২০৩১ সালের মধ্যে জিডিপির তুলনায় মোট ঋণের অনুপাত ৫০%-এ নামিয়ে আনা হবে। কিন্তু এই লক্ষ্য পূরণে কার্যকর আর্থিক সংস্কার এখনও অধরাই।

শুধু ঋণই নয়, আর্থিক রিপোর্ট বলছে, ভারতের ব্যাংকিং ব্যবস্থাও পড়েছে চাপে।
ব্যাংকে আমানত ও ঋণদানের হার উভয়ই হ্রাস পেয়েছে।

  • ২০২৪ সালের জুনে ঋণদানের বৃদ্ধির হার ছিল ১৪%
  • ২০২৫ সালের জুনে তা নেমে এসেছে ১০%-এ।

অন্যদিকে আমানতের বৃদ্ধিও শ্লথ। সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাংকে টাকা রাখা বা ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা দুটোই কমেছে।

একদিকে ঋণের পাহাড়, অন্যদিকে ব্যাংকিং সেক্টরের দুর্বলতা, এই দুই মিলিয়ে অর্থনীতির ভিত এখন বেশ নড়বড়ে। বিনিয়োগ, রপ্তানি, ঋণগ্রহণ, সব কিছুর পেছনে যখন সরকারের ‘উন্নয়নের গপ্প’ বলা হচ্ছে, তখন পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কাহিনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen