প্লাবিত ঘাটালে গিয়ে মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কী বললেন দেব, কবে শেষ হবে কাজ?

এই বাঁধগুলি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। তার ফলে বাঁধগুলি ভেঙেই মূলত ঘাটাল এলাকায় বন্যা দেখা দেয় ফি বছর।

July 30, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৫০: ঘাটাল মূলত শীলাবতী, কংসাবতী এবং দ্বারকেশ্বর নদের শাখা নদী ঝুমির লীলাভূমি হিসাবে পরিচিত। তখনকার আমলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলস্বরূপ স্থানীয় ভূস্বামীরা এই নদীগুলির বন্যা ঠেকাতে সার্কিট বাঁধ দিয়ে নিজেদের জমিদারিতে নিচু এলাকাগুলিকে বন্যা থেকে বাঁচিয়ে আবাদি জমি বাড়ানোর উদ্যোগ নেন। সেই জমিদারি জমানা আর নেই। কিন্তু জমিদারি বাঁধগুলি আজও রয়ে গিয়েছে। এই জমিদারি বাঁধগুলি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। তার ফলে বাঁধগুলি ভেঙেই মূলত ঘাটাল এলাকায় বন্যা দেখা দেয় ফি বছর। উলটোদিকে জোয়ারের সঙ্গে আসা পলি নদী বাঁধ উপচে ছড়িয়ে পড়তে না পেরে নদীতেই জমতে থাকে পলি মাটি।

এবছরও অনবরত বৃষ্টিতে ফের প্লাবিত (Flood) পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল (Ghatal, Flood)। প্রতিবারের মতো এবারও চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। জলমগ্ন ঘর-বাড়ি, ডুবে যাওয়া রাস্তা আর মাঠঘাট যেন ঘাটালের নিত্যদিনের ছবি বর্ষার মরসুমে। এমন প্রেক্ষাপটে বুধবার বানভাসি ঘাটালে পৌঁছলেন এলাকার সাংসদ ও অভিনেতা দেব ((Dev)। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান Ghatal Master Plan) নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করলেন তিনি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে।

বৈঠক শেষে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে দেব বলেন, “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য অনুমোদনও হয়েছে। অনেকগুলো স্যুইজ গেট সংস্কারের কাজ চলছে। অনেকগুলো হয়ে গিয়েছে। প্রথম দফার কাজ এই মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সবথেকে বড় হচ্ছে জমি অধিগ্রহণের কাজ। যতটা কম জমি নিয়ে এটা করা যায় সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন ডিজাইনে ৪০ শতাংশ কম জমি লাগছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান সরকারের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের জন্য। মানুষ যেন শান্তিতে থাকতে পারে। ১৯ জুন থেকে সবাই জলের মধ্যে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কাজটা শুরু হলেই তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen