বিশ্বভারতীতে প্রাচীর নির্মাণের জন্য প্রতীকী প্রতিবাদ
পৌষমেলা মাঠ নিয়ে ফের অশান্তির আঁচ শান্তিনিকেতনে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বোলপুরের সুপার মার্কেটের সামনে শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা মাঠ বাঁচাও কমিটির তরফে বাউল গানের মাধ্যমে প্রাচীর নির্মাণের জন্য প্রতীকী প্রতিবাদ জানানো হয়।
এদিকে ফের তাণ্ডবের আঁচ করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে এদিন প্রশাসনকে সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারির আবেদন জানানো হয়। ফলে সকাল থেকে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল এলাকায়। নামানো হয়েছিল জল কামান। তবে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই বেলা সাড়ে ১১ নাগাদ প্রতীকী প্রতিবাদ সভা শেষ করে কমিটি। ব্যবসায়ী আমিনুর হোদা বলেন, ‘আমরা প্রতীকী প্রতিবাদ সভা করলাম। কবিগুরু চেয়েছিলেন খোলামেলা পরিবেশ। সেই আদর্শে আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতীকী সভা করলাম। ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে ভাবার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, অসামাজিক কাজকর্ম বন্ধ করতে পৌষ মেলার মাঠ প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বভারতী। সেই মতো ১৫ অগাস্ট থেকে কাজ শুরু হয়। একদিন কাজ চলার পর ১৭ অগাস্ট সকালে শান্তিনিকেতন পৌষ মেলার মাঠ বাঁচাও কমিটির নামে সহস্রাধিক বহিরাগত লোকজন মিছিল করে বলে অভিযোগ। সেই মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৃণমূলের দুবরাজপুর বিধায়ক নরেশ বাউরি, বোলপুর পুরসভার সদস্য শেখ ওমর সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। মিছিল মেলার মাঠের কাছে পৌঁছোতেই শুরু হয়ে যায় তাণ্ডব। চলে ধ্বংসলীলা। ভেঙে ফেলা হয় মেলা মাঠের প্রাচীন গেট, অস্থায়ী অফিস ঘর। লুঠপাট করা হয় সিমেন্ট ও প্রাচীর তৈরির যন্ত্রাংশ। তবে সেই সময় কোনও পুলিশ কর্মীকে দেখা যায়নি। এরপরই এইনিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় হাইকোর্টের চার সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয়। সেই কমিটির নির্দেশে এদিন থেকে শুরু হয়েছে প্রাচীর তৈরির কাজ। রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তায় কাজ শুরুর নির্দেশ দেন আদালতের চার সদস্যের কমিটি।