করোনা কালে তরতাজা থাকতে বাড়িতেই বানান এনার্জি ড্রিঙ্ক
চলুন তাহলে চটপট জেনে নেওয়া যাক তিনরকম এনার্জি ড্রিঙ্কের রেসিপি।

করোনা আবহে এখন অনেকেই বাইরের খারাপ এড়িয়ে চলছেন। বিরিয়ানি থেকে জিলাপি- পারলে সবই বাড়িতে তৈরি করে নিচ্ছেন। ‘হোমমেড’ আহারই এখন অমৃতসম। কিন্তু বাড়িতে কি এনার্জি ড্রিঙ্কও বানিয়ে ফেলা সম্ভব? কেন নয়?
সহজ কিছু উপকরণ দিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর এনার্জি ড্রিঙ্ক। যা আপনাকে কাজে এনার্জিও দেবে, মুডও তরতাজা রাখবে। চলুন তাহলে চটপট জেনে নেওয়া যাক তিনরকম এনার্জি ড্রিঙ্কের রেসিপি।
১. আদা আর এলাচ দিয়ে এনার্জি ড্রিঙ্ক:
দুটি কুচি আদা ছিঁচে রস বের করে গ্লাসে ঢেলে নিন। এক চিমটে গুড়ো হলুদ এবং একটি চিমটে গুড়ো এলাচ গুড়ো যোগ করুন। স্বাদ অনুযায়ী ২-১ চামক মধু মিশিয়ে দিন।
এবার গ্লাসটিতে গরম জল ঢেলে নেড়ে পান করুন। সকালে উঠেই এই এনার্জি ড্রিঙ্ক খেলে দিনভর চাঙ্গা থাকবেন।
২. কলা দিয়ে এনার্জি ড্রিঙ্ক:
যাঁরা নিয়মিত বাড়িতে শরীরচর্চা করেন, তাঁদের জন্য এই ডিঙ্ক আদর্শ। শরীরকে তরতাজা রাখার পাশাপাশি এই স্মুদি পুষ্টিও জোগায়।
একটি বাটিতে একটি পাকা কলা ছাড়িয়ে রাখুন। এবার তাতে দুই চামক আলমন্ড বাটার মিশিয়ে নিন (বাজারেই পেয়ে যাবেন)।
দুটো ভাল করে কুচি করা কপি পাতা অথবা পালং পাতা মেশান। অর্ধের কাপ দই, এককাপ টোনড্ দুধ, পরিমাণ মতো সুগার ফ্রি।
এবার মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিয়ে সেই স্মুদি গ্লাসে ঢেলে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। এতে প্রোটিন থাকায় শরীর চাঙ্গা হয়।
৩. নারকেলের চা:
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরও আলসেমি শরীর ছাড়তে চায় না। আবার অনেক কাজের পর ক্লান্ত অনুভূত হতে থাকে। তখনই এই এনার্জি ড্রিঙ্ক ম্যাজিকের মতোই কাজ করবে। শরীরকে ঠান্ডা করে সতেজ করে তুলবে মন।
একটি শশা সাত-আট পিস করে কেটে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন। এবার একটি গ্লাসে এককাপ গ্রিন টি ঠান্ডা করে ঢালুন। মেশান এক চামচ মধু, হাফ চামচ সন্ধক লবণ, আর এককাপ নারকেলের জল। এবার সব উপকরণগুলো ভালভাবে মিশিয়ে নিন।
এরপর ফ্রিজ থেকে বের করে শশার টুকরোগুলো ড্রিঙ্কে ফেলে পান করুন। পার্থক্যটা সঙ্গে সঙ্গে অনুভব করবেন।