আবার এনআরসি-র নোটিশ! এবার টার্গেট বাংলার নির্বাচিত প্রতিনিধি!
কুচবিহারের মাথাভাঙ্গার হজরাহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত প্রধানকে আগামী ২৭ অগস্ট হাজিরা দিতে বলা হয়েছে নলবাড়ির ফরেনার্স ট্রাইবুনালে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:৪০: অসম থেকে ফের এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এবার পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত গ্রামপ্রধানকে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য তলব করল অসমের ফরেনার্স ট্রাইবুনাল! কুচবিহারের মাথাভাঙ্গার হজরাহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত প্রধানকে আগামী ২৭ অগস্ট হাজিরা দিতে বলা হয়েছে নলবাড়ির ফরেনার্স ট্রাইবুনালে। সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে তাঁর সমস্ত বৈধ নাগরিকত্বের কাগজপত্র, যাতে তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে তিনি একজন ভারতীয় নাগরিক।
বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই বিষয় সম্পর্কে টুইটারে এক পোস্টে বলা হয়েছে, “তিনি একজন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত বাংলার প্রতিনিধি, যিনি জনগণের ভোটে জয়ীহয়ে এই পদে বসেছেন, তাঁকেই এভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে, যেন পশ্চিমবঙ্গ অসমের অধীনস্থ কোনো অঞ্চল! এটা শুধুই একজনের বিরুদ্ধে নয় এই পদক্ষেপ আসলে একটা বৃহত্তর রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ। ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বে এই ‘হ্যারাসমেন্ট ক্যাম্পেইন’ চালানো হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে, যেখানে বাংলাভাষীদের উপর নির্মম অত্যাচার, অসম্মান এবং তাঁদের সাংবিধানিক অধিকারকে অস্বীকার করা হচ্ছে।” আইটিসির তরফে আরও বলা হয়.
“এটা ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর সরাসরি আঘাত ফেলছে। পশ্চিমবঙ্গের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনা বাঙালিদের মর্যাদা, অধিকার এবং পরিচয়কে ঘিরে এক প্রশ্ন তুলছে। “
“স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে আমাদের পরিচয় পত্র নিয়ে কোনও রাজনীতি চলবে না। আমাদের নাগরিকত্ব কোনও বিচারের বিষয় নয়।”
সম্প্রতি কিছু দিন আগে আসাম ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল থেকে কোচবিহারের আরেক বাসিন্দাকে এনআরসি নোটিশ পাঠানো হয়ে ছিল। সেই মহিলার নাম হলো মামিনা বিবি। বাংলা-আসাম সীমান্তবর্তী তুফানগঞ্জ-২-এর শালবাড়ির বাসিন্দা তিনি। তাঁকে তাঁর বৈধ কাগজপত্র সহ ট্রাইব্যুনালে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। ঠিক একই রকম ভাবে কুচবিহারের বাসিন্দা উত্তম কুমার ব্রজবাসী,নিশিকান্ত দাস নামে দুই ব্যক্তিকে নোটিশ পাঠায় অসম ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল।

সম্প্রতি সীমান্তবর্তী এলাকাতে এই ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। এর ফলে চিন্তায় পড়েছে একাধিক মানুষ।