বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম! মোদী সরকার উদাসীন, ভুগছে আম জনতা
গত এক বছরে ভোজ্যতেলেরই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ থেকে ৪৭ শতাংশ পর্যন্ত। উৎপাদক সংস্থাগুলি কার্যত নিরুত্তর।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:০০: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ভোজ্যতেল, ডাল, চিনির মতো অত্যাবশ্যকীয় নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দাম। লাগাম টানতে ব্যর্থ মোদী সরকার। ধীরে ধীরে দাম বৃদ্ধিই পরিণত হয়েছে স্বাভাবিকতায়। গত এক বছরে ভোজ্যতেলেরই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ থেকে ৪৭ শতাংশ পর্যন্ত। উৎপাদক সংস্থাগুলি কার্যত নিরুত্তর। সংস্থাভেদে একই পণ্যের দামের তারতম্য নিয়েও তারা চুপ! বিক্রেতারা এমআরপি (MRP) দেখিয়ে দায় সারছেন। সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে প্রতি মাসে একই পণ্যের MRP-র বদল দেখে আঁতকে উঠছেন।
RBI ২০২২ সাল থেকে রেপো রেট লাগাতার বাড়িয়ে মূল্যবৃদ্ধি কমানোর আশ্বাস দিয়েছিল। মূল্যবৃদ্ধি কিন্তু নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কোনও পদক্ষেপ করেনি মোদী সরকার বা RBI। মূল্যবৃদ্ধির আঁচে দেশ পুড়ছে। প্রতিবাদের ঢেউ উঠছে। অবশেষে শুরু হয়েছে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা। পণ্যসমূহের MRP ঠিক করার প্রক্রিয়ায় বদল চাইছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় ভোগ্যপণ্য মন্ত্রক, বাণিজ্য মন্ত্রক এবং অর্থমন্ত্রক বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠন এবং বণিকসভাগুলির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, উৎপাদন ব্যয় এবং উপকরণ ক্রয় সংক্রান্ত মোট খরচের সঙ্গে তাল না মিলিয়ে যা খুশি MRP রাখা আর চলবে না!
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে স্ট্যান্ডার্ডস অব ওয়েটস অ্যান্ড মেজারস আইনের প্রথম এমআরপি ব্যবস্থা বলবৎ করা হয়েছিল। ২০১১ সালে বদল আনা হয়েছিল মেট্রোলজি আইনে। যেমন খুশি MRP-তে রাশ টানতে এবার লিগাল মেট্রোলজি আইন (২০০৯) সংশোধন করার কথা ভাবা হচ্ছে। প্রপোজাল রিপোর্ট তৈরি করছে কেন্দ্র। কোন পণ্য উৎপাদনে কোন খাতে কত ব্যয় হয়েছে এবং কীসের ভিত্তিতে MRP বসানো হয়েছে, তা জানতে পারবে আম জনতা, সেই জন্য QR Code বসানোর কথা ভাবা হচ্ছে। যাতে ক্রেতারা স্ক্যান করে সব তথ্য জানতে পারে। সাজেস্টড রিটেল প্রাইস ব্যবস্থা চালুর ভাবনাও রয়েছে। এর মাধ্যমে স্থানীয় রিটেলারদের দাম ঠিক করার অধিকার দেওয়া হবে। যে পণ্য যেখানে উৎপাদিত হয়েছে, সেই পণ্যের MRP ওই এলাকার রিটেলাররা স্থির করতে পারবেন।
আম জনতার প্রশ্ন, যেমন খুশি MRP-র এই রমরমা কারবার কি কেন্দ্র জানত না? তাহলে এতদিন পদক্ষেপ করা হয়নি কেন? ম্যাজিকে সেল দেওয়ার নামে হঠাৎ করেই কোনও পণ্য ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি হয় কী করে? একই স্টকের পণ্য হঠাৎ কীভাবে ৭০ শতাংশ ছাড় পেয়ে যায়? ট্যুরিস্ট স্পটে কোনও কোনও জিনিসের দাম বেশি হয় কেন? প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।