ভাষার ওপর সন্ত্রাস মানবো না: ঝাড়গ্রাম থেকে হুশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর
আজ ঝাড়গ্রামে আদিবাসী উৎসব উদ্বোধনে, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে তিনি শপথ নিলেন, “বাংলার উপর ভাষা সন্ত্রাস মানব না।”

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:০৭: সব বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে অভিযোগ আসছে বাঙালিকে হেনস্তার। এর প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরে একাধিকবার সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ ঝাড়গ্রামে আদিবাসী উৎসব উদ্বোধনে, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে তিনি শপথ নিলেন, “বাংলার উপর ভাষা সন্ত্রাস মানব না।”
SIR এর নামে বিজেপি নয়া ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “ভোটার তালিকায় নাম আছে কিনা, তা আবার দেখতে হবে। কেন্দ্র নাম বাদ দিতে নতুন করে চক্রান্ত করেছে। না জেনে ফর্ম ফিল আপ করবেন না। নতুন ভোটার যাঁরা হচ্ছেন মনে রাখবেন বাবা-মায়ের সার্টিফিকেট লাগবে। এটা ডবল ইঞ্জিনের সরকারের চক্রান্ত। নাম বাদ দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর চক্রান্ত।যাঁরা বাংলাদেশ থেকে আইন মেনে এসেছেন তাঁরা এদেশের নাগরিক। অনুপ্রবেশকারী ইস্যু আমাদের হাতে নেই। কেন বলছেন? চিঠি পাঠাচ্ছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, মতুয়াদের। আমাদের বাংলার মানুষরা লড়াই করল। সংগ্রাম করল। আর বিদেশি? তোমরা একা স্বদেশি? এই জিনিস আমরা বরদাস্ত করব না। মানব না। রুখে দাঁড়াবেন।”
বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্তা নিয়ে আরও একবার তোপ দাগেন মমতা বলেন, “প্রত্যেক মানুষের একটা ভাষা আছে। ভাষা তাঁর সম্মান, গর্ব। আর বলছে বাংলা ভাষাই নেই। এদের কী বলব বলুন? নীরবে বুকটা ফেটে যায়। ওরা বাজে কথা বলে আমরা বলতে পারি না। আমরা মর্মাহত, শোকাহত। মানুষের উপর অত্যাচার হচ্ছে বাংলার। ২ হাজারের বেশি ফিরিয়ে এনেছি। গুরগাঁও, অসম, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে অত্যাচার করছে। বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভোটের আগে বলবে টাকা নাও আর ভোট দাও। তুমি টাকা দেওয়ার কে? ওটা মাটির টাকা, তোমার টাকা নয়। সব দেবেন। নিজের ঠিকানা দেবেন না। নিজের ভাষা দেবেন না। নিজের অস্তিত্ব দেবেন না। বাংলা ভাষায় কথা বললেই বলছে রোহিঙ্গা। জাতীয় সঙ্গীত কোন ভাষায় লেখা? বাংলা ভাষা। যখন মানুষ বিপদে পড়ে ভেদাভেদ করে না। ভোটার লিস্ট আর ভাষার সম্মান কেউ ছাড়বেন না। মতুয়াদের উপর মুম্বইতে অত্যাচার হচ্ছে। মুম্বইতে একজনকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে খুন করে বস্তায় তোলা হয়েছে। নিজের ভাষায় কথা বলাটা অপরাধ?”
তৃনাময়ল নেত্রী আরও বলেন, “তিনি যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন মাত্র ৬০ শতাংশ মানুষের জন্মের সার্টিফিকেট থাকত। তাই ২০০৪-এর পর যাদের জন্ম, তাদের বাবা-মায়ের সার্টিফিকেট থাকা সম্ভব কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরাও তো হোম ডেলিভারি, আমাদের স্কুলের সার্টিফিকেটই আছে শুধু। ওদের সার্টিফিকেট আছে তো? যারা আইন করছে তাদের আছে তো? ওরা সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছে, খেটে খাওয়া মানুষের কথা বুঝবে কী করে!”