স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হবে পুজো, করোনাকে অবহেলা নয়-মুখ্যমন্ত্রী
‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো করা হবে, সমস্ত অনুষ্ঠানই হবে’, উত্তরকন্যার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বুধবারও একই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কোনওভাবেই জমায়েত যাতে না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে বলেন তিনি। পাশাপাশি, কালিম্পংয়ের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এদিন বিরক্তি প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানে কোচবিহার, কালিম্পং ও দার্জিলিংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, কালিম্পংয়ের পরিস্থিতি বেশ জটিল। অনেক বেশি সাবধান থাকতে হবে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, কেন কালিম্পংয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। অবিলম্বে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার নির্দেশও দেন তিনি। এদিন দার্জিলিংয়ের পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল বলে জানান রাজীব সিনহা। প্রশংসা করেন স্থানীয় প্রশাসনের। কোচবিহারের হলদিবাড়ি, শীতলকুচি-সহ ৫টি ব্লকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশও দেন। পাশাপাশি, মুখ্যসচিব এদিন জানান, উত্তরবঙ্গের এই তিন জেলাতেই চিকিৎসা পরিকাঠামোতে কোনও সমস্যা নেই। রোগীরা সঠিকভাবেই পরিষেবা পাচ্ছেন। এদিন ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের গ্রিন জোনের উপর নজর রাখার পরামর্শ দেন। বলেন, “দেখতে হবে গ্রিন জোনে যাতে কোনওভাবেই নতুন করে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে। যে এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সেখানকার পরিস্থতি আয়ত্তে আনতে হবে।”
করোনা আবহে পুজো প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে যোগীকে বিঁধে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান, “কোভিড পরিস্থিতিতেও পুজো হবে। সমস্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠানই উদযাপন করা হবে। কিন্তু তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে।” পুজোর দিনগুলিতে কোনওভাবেই যাতে বড় জমায়েত না হয় সেদিকে নজর রাখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, “বিসর্জনেও যেন ভিড় না হয়। ভিন্ন দিনে ভিন্ন এলাকায় বিসর্জন হবে। সেক্ষেত্রে কবে কারা বিসর্জন করবেন তা পুলিশ ঠিক করবে।”এদিন ফের মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, পুজোর কারণে কোনওভাবেই যেন করোনাকে অবহেলা না করা হয়।