বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথের কাছারিবাড়িতে ভাঙচুর, কেন্দ্রের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন অভিষেকের
ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বিশ্বকবির কাছারিবাড়িতেও। সেই ঘটনা নিয়ে, এবার লোকসভায় প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:২৫: মহম্মদ ইউনুসের (Muhammad Yunus) বাংলাদেশে রবি ঠাকুরকে (Rabindranath Tagore) মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে প্রতিনিয়ত। ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বিশ্বকবির কাছারিবাড়িতেও। সেই ঘটনা নিয়ে, এবার লোকসভায় প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের দলনেতা (Leader of AITC) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
মোট পাঁচটি প্রশ্ন তোলেন সাংসদ :
- রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে?
- বাংলাদেশের তরফ থেকে কাছারিবাড়ির নিরাপত্তা সম্পর্কে কী আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে?
- এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে কতজন?
- ভাঙচুরের ঘটনার জন্য ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
- সংস্কৃতি রক্ষায় ভারত-বাংলাদেশ কোনও যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে কিনা?
ভারতের বিদেশমন্ত্রক (The Ministry of External Affairs (MEA) এই পাঁচ প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টার জোরালো নিন্দা করা হয়েছে ভারতবর্ষের তরফ থেকে। এই ঘটনায় কঠিন শাস্তির বন্দোবস্ত করার জন্য বাংলাদেশকে (Bangladesh) আবেদন জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের অন্যতম আকর্ষণ রবীন্দ্রনাথের পৈতৃক ভিটে কাছারিবাড়ি। প্রত্যেকদিন বহু মানুষ ভিড় জমান বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত এই বাড়িটিতে।
বাংলাদেশের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ৮ জুন কাছারিবাড়ির দায়িত্বরত কর্মচারী ও এক দর্শনার্থীর মধ্যে পার্কিং টিকিট নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ও কথা কাটাকাটির জেরে হাতাহাতি এবং মারপিটের ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় জনৈক শাহনেওয়াজ নামে একজন দর্শনার্থীকে আটক রেখে মারধর করার অভিযোগও পাওয়া যায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাস্টডিয়ান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। সেদেশের প্রশাসনের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় কোনও সাম্প্রদায়িক কিংবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। এই ঘটনায় বাংলাদেশের জেলা প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। গ্রেপ্তারও করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।