‘জয় জোহার’ পাচ্ছেন ৩ লক্ষ: মমতার আমলে আদিবাসী উন্নয়ন বাংলায়
বাজেট বেড়েছে সাত গুণের বেশি। ফরেস্ট রাইটস অ্যাক্টের অধীনে ৪৯ হাজার পরিবার পেয়েছে বনপাট্টা, আরও ৮৫১টি কমিউনিটি ফরেস্ট পাট্টা বিতরণ হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:২৬: ৯ আগস্ট ছিল বিশ্ব আদিবাসী দিবস। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন।
এবছর, বিশ্ব আদিবাসী দিবসে রাজ্যের তিন লক্ষেরও বেশি আদিবাসী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে রাজ্য সরকার। ‘জয় জোহার’ প্রকল্পে মাসে এক হাজার টাকা করে পেনশন পাচ্ছেন তাঁরা। এই দিনে এক্স-হ্যান্ডলে শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১৪ বছরে সরকারের আদিবাসী উন্নয়নের নানা উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেছেন।
আলাদা আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর গঠন করা হয়েছে, সরকারি ভাষার মর্যাদা পেয়েছে সাঁওতালি, কুরুখ, কুড়মালি, নেপালি, হিন্দি, উর্দু, রাজবংশী, কামতাপুরি, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, তেলুগুসহ একাধিক ভাষা। সাদরি ভাষার মানোন্নয়নেও সরকার কাজ করছে। সারনা/সারি ধর্মের স্বীকৃতির জন্য রাজ্য বিধানসভায় বিল পাস হয়েছে, কেন্দ্রকেও পাঠানো হয়েছে প্রস্তাব।
রাজ্যে আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর রোধে নতুন আইন এসেছে। প্রায় সাড়ে ১৯ লক্ষ এসটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। ২০১১ সালের তুলনায় দপ্তরের বাজেট বেড়েছে সাত গুণের বেশি। ফরেস্ট রাইটস অ্যাক্টের অধীনে ৪৯ হাজার পরিবার পেয়েছে বনপাট্টা, আরও ৮৫১টি কমিউনিটি ফরেস্ট পাট্টা বিতরণ হয়েছে। প্রায় ৩৬ হাজার দরিদ্র কেন্দুপাতা সংগ্রাহকের জন্য চালু হয়েছে বিশেষ সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প। গঠিত হয়েছে আটটি ডেভলপমেন্ট বোর্ড ও সাঁওতালি অ্যাকাডেমি।
এর পাশাপাশি, এখন আদিবাসীদের উৎসবেও সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিরসা মুণ্ডা ও পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর জন্মদিন, হুল দিবস, করম পুজো সবেতেই ছুটি দেয় রাজ্য সরকার।