“আমরা দায়ী নই” আইএসএল সংকটে সাফাই কল্যাণ চৌবের
চৌবে অভিযোগ করেন, “আমরা এই সংকটের জন্য দায়ী নই। কিছু স্বঘোষিত সংস্কারক, যাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ আছে,তারা এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:১৭: ভারতীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা এআইএফএফ-এর সভাপতি কল্যাণ চৌবে প্রকাশ্যে স্বীকার করলেন যে দেশের ক্লাব ফুটবল বর্তমানে বড়ো ধরনের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আইএসএল ইন্ডিয়ান সুপার লিগের -এর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, এবং আয়োজক সংস্থা এফএসডিএল-এর ২০২৫-২৬ মরসুম স্থগিত ঘোষণার সিদ্ধান্ত এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।
গত ১১ জুলাই এফএসডিএল জানায়, এআইএফএফ-এর সঙ্গে ২০১০ সালে স্বাক্ষরিত মাস্টার রাইটস এগ্রিমেন্ট নবীকরণে অনিশ্চয়তার কারণে নতুন মরশুম আপাতত বন্ধ রাখা হবে। এর ফলে ইতিমধ্যেই তিনটি ক্লাব প্রথম দলের কার্যক্রম স্থগিত করেছে বা খেলোয়াড় ও স্টাফদের বেতন আটকে রেখেছে।
চৌবে অভিযোগ করেন, “আমরা এই সংকটের জন্য দায়ী নই। কিছু স্বঘোষিত সংস্কারক, যাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ আছে,তারা এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তবে আমি বিশ্বাস করি, সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা এই সময় পার করতে পারব।”
এদিকে, ১৩টি আইএসএল ক্লাবের মধ্যে ১১টি ক্লাব সম্প্রতি এআইএফএফ-কে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের নজরে আনতে। তবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ও ইস্টবেঙ্গল এই চিঠিতে সই করেনি। ক্লাবগুলির এই পদক্ষেপে বিস্ময় প্রকাশ করে চৌবে বলেন, “আগের দিনই সব সিইওদের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক হয়েছে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই চিঠি আসা অপ্রত্যাশিত।”
সংকট কাটিয়ে উঠতে এআইএফএফের পরিকল্পনা কী? এই বিষয়ে চৌবে জানান, তারা আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার বিষয়েও ভাবা হচ্ছে। এছাড়া সেপ্টেম্বর মাসে সুপারকাপ আয়োজন করে খেলোয়াড়দের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
আইএসএল নিজস্বভাবে আয়োজনের সম্ভাবনা নিয়েও প্রশ্ন উঠলে চৌবে বলেন, “সব বিকল্প খোলা আছে। তবে সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্তই ভালো।” এফএসডিএল-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নে তিনি জানান, এই লিগ ভারতীয় ফুটবলে অবকাঠামো, খেলোয়াড়দের বেতন, বিদেশি কোচ ও খেলোয়াড়, আন্তর্জাতিক পার্টনারশিপ এবং ব্র্যান্ড ভ্যালু—সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।
তার আশা, বিনিয়োগ অব্যাহত থাকলে ও পরিকল্পিত যুব উন্নয়নে জোর দিলে আগামী ১০ বছরে ভারতীয় জাতীয় দলের র্যাঙ্কিং ও পারফরম্যান্স দুটোই উন্নত হবে।