২০০২ সালের ভোটার তালিকা উধাও বহু বুথ, কমিশনকে জানাবেন রাজ্যের CEO
২০০৩ সালের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সিইও দফতরের এক আধিকারিক জানান, ‘‘আমাদের কাছে ২০০৩ সালের ড্রাফ্ট লিস্ট রয়েছে।’’

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:৩৩: রাজ্যের বহু বুথের ২০০২ সালের ভোটার তালিকা খুঁজে না-পাওয়ায় তা আর আপলোড হবে না। তালিকা না থাকায় প্রকাশও সম্ভব নয়। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে জানাতে চলেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর (সিইও)।
সিইও দপ্তর সূত্রে মঙ্গলবার জানা গেছে, আগামী বুধবারই তালিকা না-পাওয়ার কথা কমিশনকে জানানো হবে। অনুমতি পেলে তার বদলে ২০০৩ সালের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সিইও দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, ‘‘আমাদের কাছে ২০০৩ সালের ড্রাফ্ট লিস্ট রয়েছে।’’
২০০২ সালে রাজ্যে শেষ বার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা হয়েছিল। ২০২৫ সালে আবার সেই সমীক্ষা হবে। কমিশন ২০০২ সালকে ভিত্তি ধরেছে। রাজ্যের সিইও দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয় তালিকা প্রকাশ করতে।
জেলাশাসকদের বলা হয় ২০০২ সালের তালিকা জমা দিতে। সিইও দপ্তর ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশ শুরু করে। কাজের সময় সমস্যা দেখা দেয়। সব জেলার পূর্ণ তালিকা মেলেনি। কয়েকটি জেলা জানায়, নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক বুথের তালিকা অনুপস্থিত।কিছু তালিকা অস্পষ্ট বা নষ্ট। তাই আপলোড করা যাচ্ছে না।
আগে বলা হয়েছিল, সব নথি সংরক্ষিত আছে। তবে বাস্তবে অনেক পুরনো নথি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বেশির ভাগ বিধানসভার তালিকা মিলেছে। কিছু জায়গার তালিকা অমিল। সিইও দপ্তর জানাচ্ছে, যে বুথের তালিকা পাওয়া যাবে না, সেখানে ২০০৩ সালের খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে।
কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ দিয়ে জানানো হয়েছে, কুলপি বিধানসভার সব বুথের তালিকা অনুপস্থিত। বীরভূমের রামপুরহাটে একটি বুথের তালিকা নেই। গাইঘাটায় প্রায় ১০০ বুথের তালিকা মেলেনি। এ রকম আরও বেশ কিছু আসনের বুথের তালিকা খুঁজে পাওয়া যায়নি।