ক্ষুদ্র শিল্পে পাঁচ বছরে মাত্র ১৫% খরচ, মোদীর কর্মসংস্থানের দাবিতেও জুমলা?
করোনা পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে ২০২০ সালে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ০৯:১২: করোনা পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে ২০২০ সালে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। তার মধ্যে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প (MSME) প্রকল্পকে বিস্তৃত করার পরিকল্পনাও ছিল। লক্ষ্য ছিল কর্মসংস্থান বৃদ্ধি।
কেন্দ্র জানিয়েছিল, মোট ৫০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হবে। এর মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা আসবে সরকার থেকে, বাকি ৪০ হাজার কোটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বা বেসরকারি মূলধন থেকে। নতুন উদ্যোগে সরকার ২০ শতাংশ মূলধন দেবে, বাকি ৮০ শতাংশ দেবে বেসরকারি সংস্থা।
কিন্তু পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্রের খরচ মাত্র ১ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা, অর্থাৎ ১৫ শতাংশ। বেসরকারি সংস্থা খরচ করেছে ১১ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। ফলে মোট ৫০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে কার্যকর হয়েছে মাত্র ১২ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা।
পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা আরও খারাপ। গোটা দেশে ৬০৯টি সংস্থা সরকারি সুবিধা পেয়েছে, যেখানে বাংলায় মাত্র ৬টি। বছরে দুই কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতিও কার্যত ঠান্ডা ঘরে। নতুন প্রকল্প ‘প্রধানমন্ত্রী বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা’ও শুধুই প্রতিশ্রুতির পর্যায়ে আছে।
তথ্য অনুযায়ী, বাংলার ৬টি সংস্থার মধ্যে তিনটি কলকাতার, বাকি তিনটি জেলা ভিত্তিক। এর মধ্যে চারটি ক্ষুদ্র, দুটি মাঝারি। অন্যান্য রাজ্যও পিছিয়ে আছে, বিহারে ২টি, ওড়িশায় ৯টি, ঝাড়খণ্ডে মাত্র ১টি।
দপ্তরের কর্মকর্তাদের মতে, মূল কারণ হলো সরকারি প্রচারের অভাব এবং জটিল আবেদন প্রক্রিয়া। তারা বলছেন, উদ্যোক্তারা শর্ত ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে আবেদন আটকে রেখেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার মন্তব্য, “কেন্দ্র শুধু প্রকল্পের প্রচার করে, বাস্তব রূপ দেওয়ায় তেমন কার্যক্রম নেই। বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পগুলো সফল।”