রাজনীতির ময়দানে নামছেন ইরফান পাঠান? জল্পনা তুঙ্গে
বড় দাদা ইউসুফ পাঠান ইতিমধ্যেই রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন। আর তার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে— তবে কি এবার ইরফানও সেই পথে হাঁটবেন?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:১৯: ক্রিকেট মাঠে ব্যাট–বল হাতে একসময় প্রতিপক্ষকে ঘাম ছুটিয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান আবারও খবরের শিরোনামে। তবে এবার আলোচনার কেন্দ্র ক্রিকেট নয়, রাজনীতি। বড় দাদা ইউসুফ পাঠান ইতিমধ্যেই রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন। আর তার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে— তবে কি এবার ইরফানও সেই পথে হাঁটবেন?
ভারতের ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন ইরফান। কেরিয়ার জুড়ে দেশের হয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জয় এনে দিয়েছেন। অন্যদিকে বড় দাদা ইউসুফ পাঠানও ছিলেন ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী দলে। শচীন তেণ্ডুলকরকে কাঁধে তুলে মাঠ প্রদক্ষিণ করার সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত আজও অমর। তবে ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার পর ইউসুফ এবার সক্রিয় রাজনীতিতে। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বহরমপুর থেকে প্রার্থী হয়ে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে হারিয়ে বাজিমাত করেছেন। আজ তিনি সংসদের নিয়মিত সদস্য।
এই প্রেক্ষিতেই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে— ইউসুফের দেখানো পথে ইরফান কি এবার রাজনীতির মাঠে নামতে চলেছেন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে এমন প্রশ্ন করা হলে ইরফান প্রথমে মজার ছলে জবাব দেন, “আপনার কী মনে হয়? আমার রাজনীতিতে আসা উচিত?”— তবে বিষয়টি একেবারে এড়িয়ে যাননি তিনি। বরং স্পষ্ট জানিয়েছেন, জীবনে তিনি যাই করবেন না কেন, তার মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আনতে চান। তাঁর কথায়, “এখন হোক বা ভবিষ্যতে, আমার কাজের মাধ্যমে যদি মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার সুযোগ পাই, তবে আমি সেটাই করব। যদি তফাত গড়তে না পারি, তবে আমি সেই কাজ করব না।”
ইরফানের এই বক্তব্যে স্পষ্ট— তিনি রাজনীতি নিয়ে বিরূপ নন। তবে কেবল ক্ষমতার লড়াইয়ের জন্য নয়, বরং বাস্তবিক পরিবর্তন আনার সুযোগ পেলে তবেই নামবেন রাজনীতির নতুন ইনিংসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাই ইউসুফের পাশে দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা জানানোর সময় তাঁকে বারবার দেখা গেছে। ফলে ভক্তদের ধারণা আরও জোরালো হচ্ছে— খুব শিগগিরই হয়তো ছোট ভাই ও বড় দাদার পথে হাঁটতে চলেছেন।
এখন দেখার পালা, মাঠের পর এবার কি রাজনীতির ময়দানে দেখা যায় কি না এই জুটিকে