ECI: বিরোধীদের চাপে পড়ে নড়েচড়ে বসলো কমিশন, নিলো ২৮টি পদক্ষেপ

বিরোধী দলগুলোর অভিযোগগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ করতে ২৮টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন

August 19, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:১৬: নির্বাচন কমিশন বিরোধী দলগুলোর একাধিক ইস্যুতে ক্রমবর্ধমান চাপের প্রেক্ষাপটে, বিশেষ করে ‘ভোট চুরি’ (Vote Chori) এবং এসআইআরের (SIR) মতো অভিযোগগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে স্ট্রিমলাইন, আধুনিকীকরণ (Modernise) এবং শক্তিশালী করতে গত ছয় মাসে ২৮টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে। এই সংস্কারগুলি ছ’টি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে – স্টেকহোল্ডার এনগেজমেন্ট (Stakeholder Engagement), নির্বাচনী ব্যবস্থার সাফাই, প্রযুক্তির ব্যবহার (Technology Adoption), ভোটার তালিকার শুদ্ধিকরণ, ভোট দেওয়ার সুবিধা (Ease of Voting) এবং ক্যাপাসিটি বিল্ডিং (Capacity Building), যার লক্ষ্য আসন্ন নির্বাচনে স্বচ্ছতা এবং দক্ষতা নিশ্চিত করা।

এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, ইলেকশন রেজিস্ট্রেশন অফিসার (EROs), ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার (DEOs) এবং চিফ ইলেকশনাল অফিসার (CEOs) দেশজুড়ে ৪,৭১৯টি সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন, যেখানে ২৮,০০০-এরও বেশি রাজনৈতিক প্রতিনিধি অংশ নেন। কমিশন আরও সরাসরি ২০টি উচ্চ-স্তরের বৈঠকের মাধ্যমে দলীয় সভাপতি এবং জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা শক্তিশালী করার প্রচেষ্টায়, ইসি প্রথম দফায় ৩৩৪টি নিষ্ক্রিয় রেজিস্টার্ড আনরেকগনাইজড পলিটিক্যাল পার্টি (RUPPs) ডিলিস্ট করেছে এবং আরও ৪৭৬টিকে অপসারণের জন্য চিহ্নিত করেছে। স্বচ্ছতা বাড়াতে বুথ লেভেল অফিসারদের (BLOs) জন্য স্ট্যান্ডার্ড ফটো আইডি কার্ড (Photo ID Card) ইস্যু করা হয়েছে, পাশাপাশি ফলাফল ঘোষণার পর ৫% ইভিএমের (EVM) মাইক্রোকন্ট্রোলার (Microcontroller) যাচাই বাধ্যতামূলক করতে একটি নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (SOP) চালু করা হয়েছে।

প্রযুক্তির দিক থেকে, কমিশন ইসিনেট (ECINET) নামে একটি ওয়ান-স্টপ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে, যা ভোটার, কর্মকর্তা এবং দলগুলোর জন্য ৪০টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশনকে এক জায়গায় করেছে। অন্যান্য ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে সমস্ত পোলিং স্টেশনে ১০০ শতাংশ ওয়েবকাস্টিং (Webcasting), প্রতি দু’ঘন্টায় রিয়াল-টাইম ভোটার টার্নআউট, এবং কোনো অমিলের ক্ষেত্রে ভিভিপ্যাট (VVPAT) স্লিপ গণনা বাধ্যতামূলক করা।

ভোটারদের কাছে ইলেকট্রোরাল ফটো আইডেনটিটি কার্ড (EPIC) বিতরণের সময়সীমা ১৫ দিনে নামানো হয়েছে এবং এসএমএস (SMS) নোটিফিকেশন পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে, পাশাপাশি ডুপ্লিকেট EPIC নম্বর বাতিল করা হয়েছে।

ভোটারের সুবিধার জন্য, কমিশন প্রতিটি পোলিং স্টেশনের ভোটার সীমা ১,২০০-এ সীমাবদ্ধ করেছে, বুথের বাইরে মোবাইল ডিপোজিট সুবিধা চালু করেছে এবং আরও স্পষ্ট ভোটার স্লিপ বাধ্যতামূলক করেছে। প্রার্থীদের জন্য বুথ এখন পোলিং স্টেশন থেকে ১০০ মিটারের বাইরেও অনুমোদন করা যাবে। ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ের প্রচেষ্টার মধ্যে BLOদের পারিশ্রমিক দ্বিগুণ করা, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকশন ম্যানেজমেন্টে (IIIDEM) ৭,০০০-এরও বেশি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং পুলিশ ও রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের জন্য বিশেষ সেশন আয়োজন করা। এছাড়াও রাজনৈতিক দলগুলি দ্বারা নিযুক্ত বুথ লেভেল এজেন্টদের (BLA) প্রশিক্ষণ, মিডিয়া এবং কমিউনিকেশন অফিসারদের প্রশিক্ষণ এবং পুলিশ অফিসারদের প্রশিক্ষণের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen