কেরলের পাঠ্যবইয়ে নেতাজিকে নিয়ে ভুল তথ্য, ক্ষুব্ধ ঋতব্রত বললেন-CPI(M) নেতৃত্ব বাঙালি আইকনকে সহ্য করতে পারে না
ব্রিটিশদের ভয়ে জার্মানিতে পালিয়ে গিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু! এমনই লেখা ছিল কেরলের সরকারি পাঠ্যপুস্তকের খসড়ায়।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:৩৬: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে ভ্রান্ত দাবি করায় বিতর্ক তৈরি হল কেরলে। ব্রিটিশদের ভয়ে জার্মানিতে পালিয়ে গিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু! এমনই লেখা ছিল কেরলের সরকারি পাঠ্যপুস্তকের খসড়ায়। ‘ভুল’ নজরে আসার পরেই ছাপাখানায় ওই পাঠ্যবইয়ের মুদ্রণ স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে সে রাজ্যের বাম সরকার। কেরলের শিক্ষামন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা ভি শিবনকুট্টী জানিয়েছেন, বিষয়টি নজরে আসার পরেই ওই ‘ঐতিহাসিক ভুল’ সংশোধন করে নেওয়া হয়েছে। তার পরেও অবশ্য বিতর্ক থেমে নেই।
দেশনায়কের অপমানে ক্ষোভে ফুঁসছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এটা সিপিএমের বাঙালি বিরোধী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। দেশনায়ক নেতাজির অপমানের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বাম নেতৃত্বকে।
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নেতাজির যে মহানিস্ক্রমণ, মহম্মদ জিয়াউদ্দিন নামের বিমার এজেন্ট সেজে দেশত্যাগ এবং তারপর দেশ স্বাধীন করার উদ্দেশে আজাদ হিন্দ বাহিনী নিয়ে লড়াই, সে ইতিহাস আমরা সকলেই জানি। সিপিআইএম এগুলো জানে কি জানে না, বা জেনেও জানতে চাই কিনা বলতে পারব না।” ঋতব্রতর তোপ, “আমি শুধু এটুকু জানি, এসব এসব অনিচ্ছাকৃত ভুলটুল নয়। সিপিআইএমের নেতৃত্ব বাঙালি আইকনকে সহ্য করতে পারে না। সিপিআইএম বাঙালি বিরোধী একটা শক্তি। এই যে ঘটনা ঘটেছে, সিপিআইএমের বাঙালি বিরোধী মনোভাবের জন্য দেশনায়ক সুভাষচন্দ্রকে যেভাবে অপমান করা হয়েছে, তাতে সিপিএম নেতৃত্বের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।”
কেরলের সরকারি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়ানোর জন্য শিক্ষকদের একটি ‘হ্যান্ডবুক’ দিয়ে থাকে সে রাজ্যের সরকার। সেই বইতেই এই ভুল ধরা পড়ে। ওই বইয়ের খসড়া তৈরির দায়িত্বে ছিল কেরলের স্টেট কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং। সে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ভুল সংশোধন করা হয়েছে।