130th Constitutional Amendment Bill মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন? অভিযোগ বিরোধীদের

মোদী সরকারের এই বিলকে ‘Black Bill’ বলে কটাক্ষ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

August 21, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:০০: জেলবন্দি মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধিদের পদ থেকে অপসারণ সংক্রান্ত বিল এনেছে মোদী সরকারকে। মোদী সরকারের এই বিলকে ‘Black Bill’ বলে কটাক্ষ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, দেশের সুপার এমার্জেন্সি চলছে। মোদী সরকারের নয়া বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছে গোটা INDIA শিবির। বিরোধীরা এই বিলকে মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন হিসাবেই দেখছে।

বুধবার সংসদে পেশ হওয়া সংবিধানের ১৩০ তম সংশোধনী বিল নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। উত্তাল সংসদের অধিবেশন। উল্লেখ্য, নয়া বিল অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা কোনও গুরুতর অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে জেলবন্দি থাকলে ৩০ দিন পর তাঁদের পদচ্যুতি ঘটবে। এই আইনকে সংবিধানের মূল কাঠামো তথা মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন আখ্যা দিয়েছে বিরোধীরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বা আ‌ইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়ালদের দাবি, দুর্নীতি রুখতে এই আইন প্রয়োজন। জেল বন্দি অবস্থাতেও ধৃতের উচ্চপদে বসে থাকা দৃষ্টান্ত বিপজ্জনক। সাম্প্রতিককালে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বা হেমন্ত সোরেনরা কেন্দ্রীয় এজেন্সির দ্বারা গ্রেপ্তার হয়েও জেলে থেকে দীর্ঘদিন মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন।

অন্যদিকে, বিরোধীদের বক্তব্য, সংবিধানের ২১ নং ধারা আইনকে স্পষ্ট করে দিয়েছে। দোষী প্রমাণিত না-হলে কেউ দোষী নয়। নিছক অভিযোগ বা সন্দেহের জেরে কোনও মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে আটকে রাখা হল, অথচ পরে দেখা গেল তিনি নির্দোষ। সেক্ষেত্রে ৩১ দিনের মাথায় পদচ্যুতির সাজা হবে কোন ভিত্তিতে? কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারি, এআইএমআইএমের আসাদউদ্দিন ওয়েইসি, আরএসপির এনকে প্রেমচন্দ্রন, সমাজবাদী পার্টির ধর্মেন্দ্র যাদবরা বলেন, সংবিধানের ২১ নং ধারাই শুধু নয়, ৭৪ (১) নং ধারায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি শুধুমাত্র মন্ত্রিপরিষদের পরামর্শ মতোই কাজ করতে বাধ্য। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে গদিচ্যুত করার নির্দেশ দেবেন কখনও?
কলকাতা থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এই বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাদল অধিবেশন শেষ হতে মাত্র দুদিন বাকি, এমন সময় কেন এই বিল আনল সরকার? SIR আর ‘ভোট চুরি’ নিয়ে সরকার এখন লেজেগোবরে। নজর ঘোরাতেই কি এই বিল আনা হল? না-কি জোট শরিক নীতীশকুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুকে পরোক্ষে হুঁশিয়ারি দিল কেন্দ্র ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার? উঠছে প্রশ্ন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen