India-Us সম্পর্ক নিয়ে ট্রাম্পকে কী পরামর্শ প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত Nikki Haley-র?
ট্রাম্পের Tariff war ঘিরে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছে নয়া দিল্লি ও ওয়াশিংটনের। অন্যদিকে কাছে আসছে চীন, রাশিয়া ও ভারত।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৩৩: ট্রাম্পের Tariff war ঘিরে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছে নয়া দিল্লি ও ওয়াশিংটনের। অন্যদিকে কাছে আসছে চীন, রাশিয়া ও ভারত। এবার ভারতের সঙ্গে মার্কিন মুলুকের সম্পর্ক নিয়ে প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেলি (Nikki Haley) ট্রাম্প প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন। তাঁর মতে, ভারত-মার্কিন সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দাঁড়িয়ে। ওয়াশিংটনকে যদি চীনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণ করতে হয় তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করা দরকার। দক্ষিণ ক্যারোলিনার প্রাক্তন গভর্নর অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর মধ্যে সরাসরি কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি পদক্ষেপ না-নেওয়া হয়, তাহলে বেজিং এই বিরোধকে কাজে লাগাবে।
ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক প্রসঙ্গে নিকি বলেন, রাশিয়ার তেল ও শুল্ক বিরোধের বিষয়টিকে বিশ্বের দুই বৃহত্তম গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে দেওয়া উচিত নয়। তাঁর মতে, ‘আমেরিকার, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে উপেক্ষা করা উচিত নয়। চীনের মুখোমুখি হওয়ার জন্য আমেরিকার ভারতের মতো বন্ধুর প্রয়োজন।’
রাশিয়া থেকে তেল নেওয়া জারি রাখার জন্য নয়াদিল্লির উপর ট্রাম্প ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। তারপর থেকে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে।
হ্যালি বলেন, “রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি ক্রয় ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধের অর্থ যোগানে সহায়তা করছে এটা ঠিক। কিন্তু এশিয়ায় চীনা আধিপত্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো একমাত্র দেশটির ২৫ বছরের অগ্রগতি ধ্বংস করা হবে একটি কৌশলগত বিপর্যয়।”
তাঁর যুক্তি, ওয়াশিংটনের জন্য ভারত অপরিহার্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইজরায়েলের মতো মিত্রদের সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন তিনি, যা তাঁর মতে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “সহজ ভাষায়, ভারতের শক্তি বৃদ্ধি পেলে চীনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা হ্রাস পাবে।”