মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে শান্তনু Vs সুব্রত, গেরুয়া MP-MLA বিবাদে নয়া জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮:৪৫: ধর্মীয় শংসাপত্র বিলি ঘিরে তুলকালাম বনগাঁর ঠাকুরবাড়িতে। দুই ভাই, শান্তনু ঠাকুর ও সুব্রত ঠাকুর সংঘাতে জড়ালেন। বিজেপি সাংসদ বনাম বিজেপি বিধায়কের দ্বন্দ্বে গেরুয়া শিবিরের ফাটল ফের বেরিয়ে এল প্রকাশ্যে। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহা সংঘাধিপতি তথা বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর ও সংঘাধিপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিবাদে নয়া রাজনৈতিক জল্পনা উসকে উঠেছে। সুব্রত ও সুব্রত এবং শান্তনু ঠাকুরের মা ছবিরানি ঠাকুর মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুরের জানান বৈঠক করেন। এতেই তুঙ্গে জল্পনা!
শান্তনুর দাবি, তাঁর দাদা সুব্রত ঠাকুর তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। সুব্রতর দাবি, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিট না পেলে শান্তনু নিজেই তৃণমূলে যেত। তাঁর যোগ দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও জানান সুব্রত। ঠাকুরবাড়ি ও মতুয়াদের স্বার্থে তিনি তাঁর জেঠিমা মমতা ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
ঠাকুরবাড়িতে ধর্মীয় শংসাপত্র বিলি করা হচ্ছে। সুব্রত ঠাকুর ও শান্তনু ঠাকুর দু’জনই আলাদা করে শংসাপত্র দিচ্ছেন। শনিবার শান্তনু শিবির নাটমন্দিরে বিশেষ ক্যাম্পের আয়োজন করে। আপত্তি জানান সুব্রত। শান্তনুর অভিযোগ, ক্যাম্পে গিয়ে উপস্থিত মতুয়া ভক্তদের হুমকি দেন বিজেপি বিধায়ক। সুব্রতর দাবি, নাটমন্দিরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। সেখানে ক্যাম্প করলে অসুবিধা হবে। তাই ওদের সরে যেতে বলেন তিনি। সুব্রত অভিযোগ, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে দালালরাজ চালাচ্ছেন শান্তনু। তিনি বলেন, শান্তনু নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করে দালালরাজ চালাচ্ছে। দলমত নির্বিশেষে সকল মতুয়াদের কাছে এর বিচার চান তিনি। তৃণমূল সাংসদ মমতা ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বলেন, তাঁর কাছে আগে পরিবার। তারপরে রাজনীতি। মাকে নিয়ে তিনি, তাঁর জেঠিমা ও বোনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলেও জানান।
শান্তনু ঠাকুরের মা ছবিরানি ঠাকুরের অভিযোগ, শান্তনুর নেতৃত্বে কিছু লোক ঠাকুরবাড়ির পরিবেশ নষ্ট করছে। মতুয়া মহা সংঘাধিপতি হিসাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি নিয়ে বড়দি মমতা ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলেছে সুব্রত। অন্য শান্তনুর দাবি, সুব্রত তৃণমূলে যোগ দেবে। তিনি মন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন বলে হিংসা হচ্ছে সুব্রতর। তাই তৃণমূলে যোগ দিয়ে তাঁর মন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছে। ঠাকুরবাড়ির এই বিবাদে এক দিকে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে, বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে।