টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীর, ভূমিধস রাজৌরি, পুঞ্চে! হিমাচলে বর্ষার মরশুমে মৃত ২৯৮

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১.৩৫: এক নাগাড়ে বর্ষণের জেরে বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকা। রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধস নেমেছে।
জম্মু-পঠানকোট জাতীয় মহাসড়কের একটি সেতু মাঝখান থেকে ধসে গিয়েছে। আর একটি সেতুটির অবস্থাও ভয়ঙ্কর। দুই সেতুতেই যান চলাচল আপাতত বন্ধ। শনিবার রাত থেকে বৃষ্টি চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জম্মুতে ১৯০.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা আগস্টে বৃষ্টিপাতের নিরিখে গত ১০০ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
ভারী বৃষ্টির কারণে জম্মুর বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বহু গাড়ি বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে বেশ কিছু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।
কাঠুয়ায় উজ এবং রবি নদী বৃষ্টির কারণে ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়েছে। অন্য নদীগুলির জলস্তরও প্রায় বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। ভূমিধসের জেরে উত্তর কাশ্মীরের রাজৌরি, পুঞ্চ ও গুরেজের বহু রাস্তা বন্ধ। এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর নেই।
পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ ও প্রশাসন।
অন্যদিকে, বর্ষার দাপটে কার্যত বিপর্যস্ত হিমাচল। গোটা বর্ষার মরশুমে কখনও মেঘভাঙা বৃষ্টি, কখনও হড়পা বানে শয়ে শয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে হিমাচল প্রদেশ। রবিবার হিমাচল সরকারি প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বর্ষার মরশুমে হিমাচলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯৮ জনে। বৃষ্টিপাতজনিত ঘটনায় যেমন ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা এবং
অতিবৃষ্টির জেরে ঘরবাড়ি ধসে পড়ে ১৫২ জন মারা গিয়েছেন। ১৪৬ জন পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে হিমাচল প্রদেশে এখনও প্রায় ৪০০টি রাস্তা বন্ধ। ন্যাশনাল হাইওয়ে-০৩ ও ন্যাশনাল হাইওয়ে ৩০৫-ও বন্ধ। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ২০৮টি এলাকা। ৫১টি জায়গায় জল সরবরাহ বন্ধ। বৃষ্টিপাত ও ধসের জোড়া ফলায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটকেরা। মান্ডি, কুল্লু, কাংড়া, সিরমৌর এবং চাম্বার মতো একাধিক এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।