বারুইপুরে টোটো চুরি কাণ্ড: BJP নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার ৭ টি টোটো
চন্দনের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে আরও এক অভিযুক্তের নাম, নদীয়ার চাকদহ দরাতপুরের বাসিন্দা রামপদ মণ্ডল। জানা গিয়েছে, তিনি স্থানীয় বিজেপি নেতা।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:১২: বারুইপুরে টোটো চুরি কাণ্ডে বড় সাফল্য পেল পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা চন্দন সরকার ওরফে টোটো চুরির পান্ডাকে গ্রেপ্তার করেছে বারুইপুর থানার বিশেষ দল। হাওড়া স্টেশন থেকে কেদারনাথ যাওয়ার প্রস্তুতির সময় তাকে পাকড়াও করা হয়। চা বিক্রেতা, ফেরিওয়ালা, ট্রেনযাত্রী সেজে ধরা এড়ানোর চেষ্টা করলেও শেষমেশ পুলিশের ফাঁদে পড়ে যায় চন্দন।
চন্দনের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে আরও এক অভিযুক্তের নাম, নদীয়ার চাকদহ দরাতপুরের বাসিন্দা রামপদ মণ্ডল। জানা গিয়েছে, তিনি স্থানীয় বিজেপি নেতা। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে মোট সাতটি চোরাই টোটো।
গত এক মাসে বারুইপুর ও আশপাশের এলাকায় অন্তত ১২টি টোটো চুরির অভিযোগ জমা পড়েছিল। ১৫ অগস্ট কাছারি বাজার এলাকা থেকে একটি টোটো চুরি হওয়ার ঘটনায় টোটোর মালিক অজিত বিশ্বাস থানায় অভিযোগ জানান। এরপরই তদন্তে নেমে বারুইপুর থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায়ের নির্দেশে এসআই রনি সরকারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়।
তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র দেয় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ চন্দনের খোঁজ পায়। সোমবার দুপুরে হাওড়া স্টেশনে কুম্ভ এক্সপ্রেস ধরার আগেই তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, চন্দন টোটো চুরি করার সময় সঙ্গে রাখত ব্যাটারি চার্জার। জেলে থাকাকালীন তার সঙ্গে আলাপ হয় রামপদের। তারপর থেকেই চন্দন চুরি করা টোটো সরবরাহ করত রামপদের কাছে। টোটোগুলি বিক্রি হতো সর্বাধিক এক লক্ষ টাকায়, কখনও আবার মাত্র ২৫ হাজার টাকায়।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই চক্রের সঙ্গে বারুইপুরের আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।