Supreme Court: বিচারপতি নিয়োগে গুজরাটকেই কেন বাড়তি প্রাধান্য? প্রশ্ন হবু প্রধান বিচারপতি নাগরত্নর
নতুন করে সুপারিশ হওয়া দুই বিচারপতির মধ্যে গুজরাটের বিচারপতি বিপুল এম পাঞ্চোলিকে আনার সিদ্ধান্তে আঞ্চলিক সাম্যের ভারসাম্য নষ্ট হবে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২২:১৬: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) বিচারপতি নিয়োগকে ঘিরে ফের বিতর্ক। এবারে প্রশ্ন তুললেন কলেজিয়ামেরই সদস্য ও হবু প্রধান বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন। তাঁর অভিযোগ, নতুন করে সুপারিশ হওয়া দুই বিচারপতির মধ্যে গুজরাটের বিচারপতি বিপুল এম পাঞ্চোলিকে আনার সিদ্ধান্তে আঞ্চলিক সাম্যের ভারসাম্য নষ্ট হবে।
নাগরত্নর আপত্তি দুটি, এক, ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে দু’জন গুজরাটি বিচারপতি রয়েছেন। সেখানে আরও একজনকে আনলে অন্য প্রদেশের বিচারপতিরা বঞ্চিত হবেন। দুই, বিপুল পাঞ্চোলি সিনিয়রিটির নিরিখে ৫৭তম স্থানে। তাঁর আগের ৫৬ জনকে উপেক্ষা করে এই সুপারিশ কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, লিখিত আকারে দেওয়া ‘ডিসেন্ট নোট’-এ বিচারপতি নাগরত্ন যুক্তি দিয়েছেন, ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে গুজরাট হাই কোর্ট থেকে দুই বিচারপতি রয়েছেন, বিচারপতি জে বি পার্ডিওয়ালা ও বিচারপতি এন ভি অঞ্জারিয়া। এই অবস্থায় আরও একজন গুজরাটি বিচারপতিকে আনা হলে আদালতের আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্বে ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
যদিও বাকি চার বিচারপতির ভোটে নাগরত্নের ‘ডিসেন্ট নোট’ খারিজ হয়ে যায়, তাঁর তোলা প্রশ্নগুলোকে চাঞ্চল্যকর বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে এই আশঙ্কা যে, কেন্দ্র সুপারিশ মেনে নিলে মাত্র দু’বছরের মধ্যেই পাঞ্চোলি (Vipul M Pancholi) সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির আসনে বসবেন এবং সেখানেই থাকবেন প্রায় দেড় বছর, যা নজিরবিহীন।
দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হতে চলা বি ভি নাগরত্নর (B V Nagarathna) এই অবস্থান কলেজিয়ামকে ঘিরে স্বচ্ছতা ও ভারসাম্যের বিতর্ক আরও উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।