সংবিধান সংশোধনী বিলের আগে বিরোধী শিবিরকে দমন করতেই কি রাজ্যে রাজ্যে ED হানা?

বাংলা থেকে দিল্লি, এবার ত্রিপুরা, একাধিক রাজ্যে বিরোধী নেতাদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

August 27, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি,০৮:৪০: বাংলা থেকে দিল্লি, এবার ত্রিপুরা, একাধিক রাজ্যে বিরোধী নেতাদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তৃণমূল (TMC), আম আদমি পার্টি (AAP) ও সিপিএমের (CPIM) একাধিক নেতা এই অভিযানের মুখে পড়েছেন। বিরোধীদের দাবি, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল (Constitution Amendment Bill 130th) সংসদে পাশ করানোর আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে মোদী সরকার।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, বিরোধীরা যৌথ সংসদীয় কমিটি (Joint Parliamentary Committee-JPC) বয়কট করলেও বিল পাশের পথ বন্ধ হবে না। বিলটি শীতকালীন অধিবেশনেই (Parliament Winter Session) পাশ করাতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ, তার আগে রাজ্যে রাজ্যে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে তল্লাশি, হানা ও অভিযোগ দায়ের করে, ভয় দেখিয়ে বিরোধী শিবিরকে দমন করার চেষ্টা চলছে।

দু’বছর আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। সোমবার তাঁকে ফের হেফাজতে নেয় ইডি (Enforcement Directorate)। একই দিনে অভিযান চালানো হয়েছে দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজের (Saurabh Bharadwaj) বাড়ি ও অফিসসহ ১৩টি স্থানে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্বাস্থ্য দপ্তরে মন্ত্রী থাকাকালীন ২৪টি হাসপাতাল সংস্কার প্রকল্পে প্রায় ৫,৫০০ কোটি টাকার তহবিলের অনিয়ম হয়েছে।

ত্রিপুরাতেও (Tripura) দিনভর অভিযান চালিয়েছে ইডি। খয়েরপুর, কাঞ্চনপল্লী, ক্যাম্পেরবাজার ও নলছড়ে একাধিক বাম নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে।

হিমাচল প্রদেশে বিরোধী দল বিজেপি বিধানসভায় অভিযোগ তুলেছে, উনা জেলার একটি সোলার প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু (Sukhvinder Singh Sukhu) পাল্টা বলেছেন, “ইডি, সিবিআইয়ের সাহস থাকলে তদন্ত করুক। কাদের আমলে এই দুর্নীতি হয়েছিল, আমাদের হাতে প্রমাণ রয়েছে।’’

বিরোধীদের আশঙ্কা, এভাবে ধাপে ধাপে বড় মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করা হবে। জামিন না পেলে তাঁদের পদ খোয়াতে হবে।

বিজেপির (BJP) বক্তব্য, আম আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party-AAP) দুর্নীতির প্রতিটি অধ্যায় ফাঁস হবে। অপরদিকে, আপ নেতা সঞ্জয় সিংয়ের (Sanjay Singh) অভিযোগ, “যতজনকে গ্রেপ্তার করেছে, সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের জামিন দিয়েছে। কোনও অভিযোগ প্রমাণ হয়নি।”

কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal party) শিবিরের দাবি, আইনের রক্ষক হয়েও অপরাধীদের মতো আচরণ করছে ইডি। সুপ্রিম কোর্ট‌ও (Supreme Court) এ বিষয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে ইডি ৫ হাজার মামলা করলেও সাজা হয়েছে মাত্র ০.১ শতাংশ ক্ষেত্রে।

তাদের মতে, বিরোধী নেতাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলটিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে কেন্দ্র।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen