Trump Tariffs: ভারত বিকল্পের সন্ধান পেলে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে মার্কিন বাণিজ্য?
নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদন বলছে, এত দিনে যে অর্থনৈতিক সম্পর্কের অগ্রগতি হয়েছিল, এই পদক্ষেপে তা ভেঙে পড়তে পারে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:৩০: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ৫০ শতাংশ শুল্ক নয়, এ যেন শাস্তির খাঁড়া। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার মাশুল। বুধবার থেকে এই নিয়ম চালু হতেই আমেরিকার বিকল্প দেশের সন্ধানে ভারত।
প্রথমে ট্রাম্প ঘোষণা করার পর মোট শুল্কের বোঝা দাঁড়াল ৫০ শতাংশে। ইতিমধ্যেই বাতিল হচ্ছে অনেক অর্ডার, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রপ্তানিকারকরা। নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদন বলছে, এত দিনে যে অর্থনৈতিক সম্পর্কের অগ্রগতি হয়েছিল, এই পদক্ষেপে তা ভেঙে পড়তে পারে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন হলেও, তাদের উপর কোনও বাড়তি শুল্ক আরোপ করেননি ট্রাম্প। কেন শুধু ভারত? প্রশ্ন উঠতেই মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো ব্যাখ্যা দেন, চীনের উপর শুল্ক বসালে ইউরোপীয় বাজারে তেলের দাম হু হু করে বাড়বে। তাই আপাতত চীনকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই যুক্তিকে ‘অদ্ভুত’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
আমেরিকার দাবি ছিল, ভারতের কৃষিজাত বাজারে ছাড় দেওয়া হোক। কিন্তু সে দাবি মানা হয়নি। উল্টে ভারত আমেরিকা থেকে জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছিল। শুধু ২০২৫ সালের প্রথমার্ধেই আমেরিকা থেকে ৬০০ কোটি ডলারের জ্বালানি আমদানি করেছে ভারত, গত বছরের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি। তবু ট্রাম্পের মন গলল না। উলটে ট্রাম্প বরাবরই ভারতকে ‘শুল্কের রাজা’ বলে কটাক্ষ করেছেন।
এখন প্রশ্ন, আমেরিকার বিকল্প হিসেবে কোন দেশকে বেছে নেবে ভারত? বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনই হতে পারে প্রধান গন্তব্য। পাশাপাশি রাশিয়া, জাপান ও ইউরোপের বেশ কিছু দেশও ভারতের নতুন বাজার হয়ে উঠতে পারে। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার, ভারত থেকে আমেরিকায় রপ্তানি কমে গেলে ক্ষতি শুধু ভারতের নয়, ভুগতে হবে মার্কিন আমদানিকারকদেরও। গত বছর দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে ১৭ লক্ষ কোটি টাকা। এই শুল্ক যুদ্ধের পর তা কতটা কমে আসে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।