‘মহাকাশচারী হনুমান’ BJP সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব বিজ্ঞানসচেতনরা
বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানমনস্করা সাংসদের এহেন মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:৪৮: স্কুলপড়ুয়াদের উদ্দেশে বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর প্রশ্ন করলেন, প্রথম মহাকাশে কে গিয়েছিলেন? শিশুরা উত্তর দিল ‘নিল আর্মস্ট্রং!’ ইউরি গ্যাগারিনের কৃতিত্ব চলে গেল হনুমানের কাঁধে! অনুরাগ বললেন, ‘‘আমার তো মনে হয় হনুমানজি!’’ ঘরভর্তি শিশুরা একেবারে চুপ। একদিকে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো যখন পৃথিবীর মহাকাশ গবেষণায় প্রথম সারিতে জায়গা করে নিচ্ছে সেইসময় কেন্দ্রের শাসক দলের সাংসদের এমন মন্তব্য বির্তকের সৃষ্টি করছে। নানা মহলে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানমনস্করা সাংসদের এহেন মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের দাবি, ভ্রান্তবিজ্ঞানের চাষ শুরু হয়েছে দেশে।
এক দৈনিক সংবাদ মাধ্যমকে প্রখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারী বলছিলেন, ‘‘এটুকুই বলতে পারি, পড়ুয়ারা এখন অনেক বেশি জানে আর সঠিক জানে। তাদের হাতের কাছে ইন্টারনেট রয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, ইউটিউব দেখে তারা সারাক্ষণ চর্চা করছে।’’ বিজ্ঞানকর্মী, বিজ্ঞানমনস্করা গেরুয়া সাংসদের এই মন্তব্যকে তীব্র ভাষায় নিন্দা করেছেন। তারা বলছেন, বিজ্ঞান গবেষণায় ভারত নিজেকে কোন স্তরে নিয়ে যাচ্ছে, পৃথিবীর মানুষ দেখেছেন। সেখানে বিজেপি সাংসদের এমন মন্তব্য অনভিপ্রেত।
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের মতে, ‘‘এমন মন্তব্যে ভারতবাসীর মাথা হেঁট হল। শুধু অনুরাগ নন, বিভিন্ন সময়ে বিজেপির আরও অনেকেই এমন মন্তব্য করেছেন। ধর্মীয়, জাতপাতের ভাগকে একমাত্র মিলিয়ে দিতে পারে বিজ্ঞানমনস্কতা। এর মাধ্যমেই আমরা প্রগতির পথে হাঁটব। তার ফলেই সমাজে শ্রেণিবৈষম্য মিটবে। স্বাধীনতার পর ভারত বিজ্ঞানকে সামনে রেখেই জাতিগঠনের কথা বলেছে। আমাদের দেশে বিজ্ঞান গবেষণার উপ জোর দেওয়া হয়েছে। এখন আবার অপবিজ্ঞান এনে বিজ্ঞান-যুক্তিবাদকে পিছনে ফেলে দিচ্ছে।’’