Tariff War: ভারতের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ক্ষোভ! Trump ঘনিষ্ঠ নাভারোর মন্তব্যে বিতর্ক
ভারত-মার্কিন শুল্কযুদ্ধ বাণিজ্য ও তেলকেন্দ্রিক নয়, এর পেছনে ব্যক্তিগত ক্ষোভ কাজ করছে, পিটার নাভারোর সাম্প্রতিক মন্তব্যে এমন ইঙ্গিতই মিলেছে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৩৪: ভারতের সঙ্গে মার্কিন শুল্কযুদ্ধ শুধু বাণিজ্য ও তেলকেন্দ্রিক নয়, এর পেছনে ব্যক্তিগত ক্ষোভ কাজ করছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী পিটার নাভারোর সাম্প্রতিক মন্তব্যে এমন ইঙ্গিতই মিলেছে।
এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ ভারতের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সমালোচনায় তিনি এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি বিশেষ ছবি ব্যবহার করেন, যেখানে মোদি সন্ন্যাসীর পোশাকে ধ্যানে মগ্ন। নাভারোর এই পদক্ষেপকে শুধু রাজনৈতিক আক্রমণ নয়, বরং ভারতের সভ্যতাগত গর্বকে খাটো করার প্রয়াস বলেই দেখা হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদ থেকে ট্রাম্পের উপদেষ্টা হয়ে ওঠা নাভারো ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের রাশিয়া-নীতি ও তেল কেনাকাটাকে নিশানা করে বলেন, “India’s Big Oil lobby” দেশটিকে “রাশিয়ার অর্থ ধোলাইখানা”তে পরিণত করেছে।
পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, ভারত আমেরিকার কাছ থেকে প্রযুক্তি চাইছে অথচ রুশ অস্ত্র কেনা অব্যাহত রেখেছে। ভারতকে তিনি “strategic freeloader” বলেও আখ্যা দেন।
কিন্তু ইতিহাস বলছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও উদাসীনতার কারণেই ভারতকে দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। বিশ্লেষক মহলে প্রশ্ন উঠছে, নাভারো এই সত্য এড়িয়ে গিয়ে কেন বারবার ভারতকেই নিশানা করছেন?
মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাঙ্ক জেফরিজের সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে ট্রাম্প প্রশাসনের ভারতের বিরুদ্ধে শুল্কনীতির পেছনে ব্যক্তিগত আক্রোশকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং পাকিস্তান-মধ্যস্থতায় ভারতের অনীহার কারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের “ব্যক্তিগত হতাশা” থেকেই এই কঠোর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত এসেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, নাভারোর সাম্প্রতিক আক্রমণ এটাই স্পষ্ট করছে যে, মার্কিন শুল্কযুদ্ধ ভারতের বিরুদ্ধে কেবল অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ব্যক্তিগত বিদ্বেষও।