সীমান্তে ভারতীয় সেনার বড় সাফল্য, নিহত কুখ্যাত জঙ্গি বাগু খান ওরফে ‘হিউম্যান জিপিএস’
পাকিস্তানের মুজাফফরাবাদে জন্ম নেওয়া এই কুখ্যাত জঙ্গি প্রায় তিন দশক ধরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:৩০: জম্মু ও কাশ্মীরের গুরেজ সেক্টরে গত সপ্তাহে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে খতম হয়েছিল দুই জঙ্গি। তাদের মধ্যে একজনকে চিহ্নিত করা গেছে যার নাম বাগু খান, যিনি ‘হিউম্যান জিপিএস’ নামে পরিচিত ছিলেন। পাকিস্তানের মুজাফফরাবাদে জন্ম নেওয়া এই কুখ্যাত জঙ্গি প্রায় তিন দশক ধরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে।
অভিযোগ, ১৯৯৫ সাল থেকে বাগু খান সীমান্ত পেরিয়ে অন্তত শতাধিক অনুপ্রবেশ প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত ছিল। সে সমস্ত রুট মুখস্থ জানত, আর সেই দক্ষতার কারণেই তাকে ডাকা হতো ‘হিউম্যান জিপিএস’। সীমান্ত পাহাড়ি অঞ্চলের প্রতিটি গলি-ঘুপচি সম্পর্কে তার ছিল অবিশ্বাস্য জ্ঞান। তাই কখনও পাকড়াও না হয়েই সে অনুপ্রবেশকারীদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যেত। এ কারণেই দীর্ঘদিন ধরে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর ওয়ান্টেড তালিকায় নাম ছিল বাগুর।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ আগস্ট রাতে এলওসি বরাবর সন্দেহজনক নড়াচড়া লক্ষ্য করেন টহলরত জওয়ানরা। সতর্কবার্তা দেওয়া হলে জঙ্গিরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। পাল্টা জবাব দেন সেনারা এবং সেই গুলির লড়াইয়ে বাগু খান ও তার সহযোগী নিহত হয়। নিহত অন্য জঙ্গিরও পাকিস্তানি হওয়ার প্রমাণ মিলেছে, যদিও তার পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
অপারেশনের সময় সেনারা বাগুর কাছ থেকে উদ্ধার করে একটি পরিচয়পত্র, যেখানে তার ঠিকানা পাকিস্তানের মুজাফফরাবাদ লেখা ছিল। এছাড়া গোয়েন্দা তথ্য বলছে, ‘সমুদ্র চাচা’ নামে পরিচিত এই জঙ্গি হিজবুল মুজাহিদিন সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিল।
চিনার কর্পস জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের দেওয়া ইনপুটের ভিত্তিতে এই যৌথ অভিযান চালানো হয়। সেনা ও পুলিশের সমন্বিত তৎপরতায় অনুপ্রবেশের বড় পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। “আমাদের জওয়ানরা সজাগ ছিল বলেই সীমান্তে বড় অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে,” জানিয়েছে কর্পস।