ভারত চীন বৈঠক সফল, এলো নতুন বার্তা
দুই দেশের ২৮০ কোটি মানুষের স্বার্থ একে অপরের সহযোগিতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, যা মানবতার বৃহত্তর কল্যাণে সাহায্য করবে।”

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪.৫৫: শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) বৈঠকের আগে আজ (৩১ আগস্ট,রবিবার) সকালেই জাতীয় রাজনীতির নজর কাড়ল বহুল প্রতীক্ষিত ভারত – চীন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। চীনের বন্দর শহর তিয়ানজিনে বৈঠক হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সীমান্ত থেকে শুরু করে অর্থনীতি সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয় দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে।
বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী জানান, দুই দেশই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, “গত বছর কাজানে আমাদের মধ্যে যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল, তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ইতিবাচক পথে এগিয়েছে। সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এবার আমাদের বিশেষ প্রতিনিধিদের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে চুক্তি হয়েছে। কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা আবার শুরু হয়েছে, সরাসরি বিমান চলাচলও হচ্ছে। দুই দেশের ২৮০ কোটি মানুষের স্বার্থ একে অপরের সহযোগিতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, যা মানবতার বৃহত্তর কল্যাণে সাহায্য করবে।”
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, “পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে ভারত-চীন সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি আমরা একসঙ্গে নিয়েছি।” পাশাপাশি, এসসিও-তে চীনের সফল সভাপতিত্বের জন্য শি-কে অভিনন্দন জানিয়ে, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আমন্ত্রণের জন্যও ধন্যবাদ জানান নরেন্দ্র মোদী।
অন্যদিকে, চীনের প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “ভারত আর চীন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দুটি দেশ এবং গ্লোবাল সাউথের অংশ। ” বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে একসাথে এগোনোর বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “এবার ড্রাগন আর হাতিকে এক হতে হবে।”
সাত বছর পরে চীন সফরে গেলেন মোদী। স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক মহলে এই নিয়ে উত্তেজনা ছিল চরম। ট্রাম্পের শুল্ক বোমার মাঝে এই কূটনৈতিক একত্রিকরণ বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন বার্তা পাঠাচ্ছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।