মমতা আমলে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কমেছে, কোন ইঙ্গিত রাজ্যের পরিসংখ্যানে?
যাঁরা ফিরবেন, তাঁরা ভ্রমণ সহায়তা-সহ এককালীন পাঁচ হাজার টাকা করে পাবেন। এক বছর, নতুন কাজের ব্যবস্থা না-হওয়া পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫.১৫: মমতা আমলে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কমেছে, এমনই দাবি রাজ্য সরকারের।
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যার বিচারে দেশের মধ্যে বাংলার স্থান ছিল সাত নম্বরে। তদানিন্তন সময়ে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ২৪.০৫ লক্ষ। তাঁদের মধ্যে মহিলা ছিলেন ১৪.৫২ লক্ষ। পুরুষ শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৯.৫৩ লক্ষ।
বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি হেনস্থার আবহে বাংলার সরকারের দাবি, গত ১৪ বছরে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কমেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের ‘কর্মসাথী’ প্রকল্প অনুযায়ী, নথিভুক্ত পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ২২ লক্ষ ৪০ হাজার। অর্থাৎ মমতা সরকারের আমলে বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ১ লাখ ৬৫ হাজার হ্রাস পেয়েছে।
উল্লেখ্য, এমন পরিযায়ী শ্রমিকও রয়েছেন, যাঁদের নাম নথিভুক্ত নয়। শ্রম দপ্তর সূত্রে খবর, করোনা কালে পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করেছিল রাজ্য। ফলে খুব একটা পার্থক্য হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ২০১১ সালের জনগণনার তথ্য বলছে, বাম আমলের শেষের দিকে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছিল। ২০০১ সালের পরিসংখ্যানের নিরিখে ২০১১ সালে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। সংখ্যাটা ৭.১৮ লক্ষেরও।
বাঙালি হেনস্থার আবহে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্প অনুযায়ী, রাজ্যে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফি মাসে পাঁচ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘শ্রমশ্রী’ পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। যাঁরা ফিরবেন, তাঁরা ভ্রমণ সহায়তা-সহ এককালীন পাঁচ হাজার টাকা করে পাবেন। এক বছর, নতুন কাজের ব্যবস্থা না-হওয়া পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।