SIR বিতর্কের মাঝে সব রাজ্যকে Detention Camps গড়ার নির্দেশ কেন্দ্রের, কী পরিকল্পনা?
বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে সেই আবহে কেন্দ্রের এই নয়া নির্দেশিকায় বাঙালিদের কী আরও বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হল?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭.০০: কেন্দ্র মঙ্গলবার গেজেট নোটিফিকেশন জারি করে সব রাজ্যকে ডিটেনশন সেন্টার তৈরির নির্দেশ দিয়েছে। অবৈধ বিদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর আগে তাঁদের আটক রাখতে হবে। ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত নেবে কে বিদেশি। কেউ উপস্থিত না হলে, নাগরিকত্ব বিতর্কে তাঁকে আটক করার অধিকার থাকবে ট্রাইব্যুনালের। ১৯৬৪ সালের পুরনো অর্ডার বাতিল করে নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ফরেনার্স (নাগরিক) ট্রাইব্যুনাল-কে দেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার। ১৯৬৪ সালের ফরেনার্স অর্ডার বাতিল করে এই নতুন নির্দেশ কার্যকর হয়েছে। যদি কোনও ব্যক্তি নাগরিকত্ব সংক্রান্ত মামলায় নিজে উপস্থিত না হন, তাহলে আটকের নির্দেশ জারি করতে পারবে ট্রাইব্যুনাল।
নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, কেন্দ্র, রাজ্য, জেলা প্রশাসন বা ম্যাজিস্ট্রেট চাইলে কারও বিদেশি পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। ট্রাইব্যুনালে সর্বোচ্চ তিনজন সদস্য থাকবেন, যাঁদের আইনি অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং কেন্দ্র তাঁদের যোগ্য বলে বিবেচনা করবে।
যদি কেউ প্রমাণ দিতে না পারেন যে তিনি বিদেশি নন, তাহলে তাঁকে ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হবে। অনুমতি ছাড়া তিনি কোথাও যেতে পারবেন না। গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর ভারতে প্রবেশ বা বসবাস নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
বিদেশিদের চলাচল নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র জানিয়েছে, কোনও বিদেশি কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া ভারতের কোনও অঞ্চলে যেতে পারবেন না। ব্যক্তিগত খাতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় অপরিহার্য। তাঁর মতে, যারা দেশের আইন লঙ্ঘন করে প্রবেশ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নির্দেশ ঘিরে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।
কংগ্রেস এই পদক্ষেপকে মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণকারী বলে দাবি করেছে। তাঁদের মতে, এই আইন কার্যকর হলে বহু বৈধ নাগরিকও হয়রানির শিকার হতে পারেন। বিশেষজ্ঞ মহলও আশঙ্কা করছে, যাচাই প্রক্রিয়া স্বচ্ছ না হলে নিরপরাধ মানুষও ডিটেনশন শিবিরে আটক হতে পারেন। তাদের প্রশ্ন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিককে যেভাবে বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে সেই আবহে কেন্দ্রের এই নয়া নির্দেশিকায় বাঙালিদের কী আরও বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হল?